জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের ইতিহাসে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছিল ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমেছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসেব বলছে, একই দিনে সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, নীলফামারীর ডিমলায় ৩ ডিগ্রি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং দিনাজপুরে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া ২০১৩ সালে ১০ জানুয়ারি সৈয়দপুরে ৩ ডিগ্রি এবং ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। তারও আগে, ১৯৯৬ সালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
এর বাইরে, ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় ৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি যশোরে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসব এলাকায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। কনকনে বাতাস আর ঘন কুয়াশায়সহ হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ তেতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধিরা বলছেন, তীব্র শীতে জরুরি কাজ ছাড়া এসব এলাকার লোকজন বের হচ্ছে না। শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। মজুর পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে তীব্র শীতে নাকাল জনজীবনের পাশাপাশি ফসলের ক্ষতি নিয়েও কিন্তু উদ্বিগ্ন কৃষকেরা। নিম্ন তাপমাত্রা ও কুয়াশাযুক্ত আবহাওয়ার কারণে বোরো ধান, আলু, ডাল ও শীতকালীন বেশ কিছু ফসল বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।