বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের একদল তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি করল ফেসবুকের মতোই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘হিকমাহ’। তাদের দাবি, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা ও অশালীন কনটেন্ট রোধে কাজ করবে প্ল্যাটফর্মটি। এখানেই শেষ নয় ইউটিউবের বিকল্পও নিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা যা পুরোপুরি শিশুবান্ধব বলেও দাবি তাদের।
শিশু কিংবা বয়োবৃদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা নেট দুনিয়ায় একবারের জন্য হলেও যেন যেতেই হয়। যে কারণে কোটি মানুষ ব্যবহার করছে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ ডিজিটাল প্লাটফর্মের আরও বিভিন্ন জানালা।
তবে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিঘ্ন হওয়া, হরহামেশাই অন্য ব্যবহারকারী দ্বারা বুলিং, আপত্তিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত কনটেন্ট চোখে পড়া, গুজব বা মিথ্যা তথ্য সরবরাহের মত হয়রানির কারণে প্রায়ই পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে শক্তিশালী সৌরঝড়, বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট বিপর্যয়ের শঙ্কা!
ব্যবহারকারীদের অনেকে বলছেন, নৈতিকতার দেয়াল ভেঙে এসব প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা। চাইলেই কেউ বাজে বা কটু কথা বলা সুযোগ পাচ্ছে। এতে বাড়ছে বিড়ম্বনা।
এ অবস্থায় নেটিজেনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একদল তরুণ উদ্যোক্তা নিয়ে এসেছেন ফেসবুকের মতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘হিকমাহ’। ব্যবহারকারীদের শতভাগ নিরাপদ রাখতে সর্বাধুনিক সব ফিচার যুক্ত করার দাবি তাদের।
হিকমাহর পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজার মো. আহনাফ আহমিদ সাদ বলেন, একটা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম হবে, যেখানে মানুষ পজিটিভভাবে মনোভাব প্রকাশ করবে। একজন আরেকজনের পেছনে লেগে থাকা, হয়রানি, গুজব ছড়ানো-এগুলো হবে না।
আর ইউটিউবের মতো ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের নাম হলো ‘মাহফিল’। নৈতিকতার পর্দা ভেদ করে এমন কোনো কনটেন্ট পাওয়া যাবে না সেখানে। এছাড়া শিশুদের নিরাপদ সাইবার জগৎ উপহার দিতে তৈরি হয়েছে ‘কাহফ কিডজ’। যেখানে চাইলেও অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কনটেন্ট দেখার সুযোগ রাখা হয়নি।
মাহফিলের সিইও আল আমিন শাহরিয়ার বলেন, এমন একটা সুস্থ প্ল্যাটফর্ম তৈরির চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ, যেখানে ব্যবহারকারী তার নৈতিকতা থেকে দূরে সরে যাবে না।
কাহফ কিডজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার নাহিদ ইসলাম নীরব বলেন, কিডজ এবং প্যারেন্টস উভয় সেগমেন্টকেই কভার করার চেষ্টা করছি।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে সরকারি নীতিমালায় পরিবর্তনের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। বুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষক ড. এ কে. এম আশিকুর রহমান বলেন, সরকারের নীতিমালাগুলো আরেকটু সহজ ও উদ্যোক্তাবান্ধব করা উচিত। কারণ এখন এআইয়ের যুগ, যেখানে বাংলা একটি লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ। আর এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল বা এলএলএম ব্যবহার করে অনেক অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা সম্ভব।
নিরাপদ সাইবার জগৎ উপহার দেবে এমন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের চাহিদা এখন তুঙ্গে। প্রচলিত মাধ্যমগুলো যখন ব্যবহারকারীদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন আশার সঞ্চার করছে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। দেশীয় একাধিক প্রতিষ্ঠান নানারকম ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির কাজ করছে যা এরই মধ্যে জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।