বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন টার্ফ ব্যবস্থাপনা প্রধান টনি হেমিং এবার দেশের সর্বোচ্চ বেতনধারী কিউরেটর হতে যাচ্ছেন। তিনি মাসে ৮ হাজার ডলার বেতন পাবেন। টাকার হিসাবে যা প্রায় ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এই বেতনের ওপর কোনো কর দিতে হবে না তাকে। করের দায়িত্ব নেবে বিসিবি। বছরে তার বেতন দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
এটি হেমিংয়ের বিসিবির সঙ্গে দ্বিতীয় মেয়াদ। এর আগে তিনি মাঝপথে চুক্তি শেষ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে যোগ দেন। ২০২৪ সালে দুই বছরের চুক্তিতে তাকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। তখন তার মাসিক বেতন ছিল ৬ হাজার ডলার। সেই সময় পুর্বাচলের শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন উইকেট ও আউটফিল্ড তৈরির দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উইকেট তৈরির কাজ প্রশংসা পাওয়ার পর হেমিং তার বেতন বাড়ান। গত ৯ আগস্ট বিসিবি বোর্ড সভায় তাকে আবারও দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নতুন চুক্তিতে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ বেতনধারী কিউরেটর হলেন।
এর আগে ভারতের প্রভীন হিঙ্গিতকার মাসে ৫ হাজার ডলার বেতনে এই রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন। তবে স্ত্রীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর তিনি বিসিবি ছেড়ে যান এবং এখন নাগপুরে প্রধান কিউরেটরের দায়িত্বে আছেন।
বেতনের পাশাপাশি হেমিং আরও কিছু সুবিধা পাবেন। তার জন্য গুলশান-২ এ একটি সজ্জিত ফ্ল্যাট, ২৪ ঘণ্টা গাড়ি ব্যবহার, মাসে ৩ হাজার টাকার মোবাইল বিল এবং বছরে ৫ হাজার ডলার এয়ার ট্রাভেল ভাতা থাকবে।
বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটি একটি স্বাধীন টার্ফ ম্যানেজমেন্ট উইং গঠন করছে, যেখানে হেমিংয়ের অধীনে সারা দেশের সব স্টেডিয়ামের উইকেট ও আউটফিল্ড প্রস্তুত হবে। টার্ফ ব্যবস্থাপনার প্রধান হিসেবে হেমিং বাংলাদেশের অন্য কিউরেটরদের কার্যক্রমও তদারকি করবেন।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.