জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলিতে আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে। সরবরাহ বাড়ায় মসলাপণ্যটির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে অঞ্চলটিতে দেশী পেঁয়াজের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী।
হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানেই আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের প্রয়োজনীয় সরবরাহ রয়েছে। পাশাপাশি দু-একটি দোকানে দেশী পেঁয়াজও রয়েছে। গতকাল প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা কমেছে। তিনদিন আগেও প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৮৫ টাকা। বর্তমানে তা কমে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ এখনো ১১০ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘হিলিসহ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত। সেই সঙ্গে আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে দেশী পেঁয়াজের মৌসুম শেষ পর্যায়ে। এ কারণে বাজারে এর সরবরাহ অনেকটা কম। এছাড়া কৃষকদের কাছেও পেঁয়াজের সরবরাহ কম। অধিকাংশই মজুদদারদের কাছে রয়েছে। কিন্তু তারা সেসব পেঁয়াজ চাহিদামতো বাজারে ছাড়ছেন না। সেই সঙ্গে অল্পসংখ্যক কৃষকের কাছে পেঁয়াজ থাকলেও বাড়তি দাম পাওয়ার আশায় সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। এতে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কম থাকায় মোকামেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালকেও আমাদের মোকামে প্রতি মণ দেশী পেঁয়াজ ৪ হাজার ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আমরা খুচরায় বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন উর রশিদ বলেন, ‘কয়েকদিন বন্ধের পর ইন্টারনেট সচল হলে ব্যাংকগুলো খোলার পর নতুন করে এলসি খুলতে পারছেন আমদানিকারকরা। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বর্তমানে ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া অতিরিক্ত গরমের কারণে আমদানীকৃত পেঁয়াজের মান খারাপ হওয়ায়ও দাম কমছে।’
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। দেশটি গত ৪ মে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পান। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ১৪ মে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ এখনো বহাল রেখেছে ভারত সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।