বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : এপ্রিলের ২১ তারিখটা সকলকে মনে রাখতে হবে। ওইদিন রাতে আকাশে তার সঙ্গে দেখা হবে। উজ্জ্বলতা একটু কম থাকতে পারে। তবে তার জন্য দেখতে অসুবিধা হবেনা। ওই সময়ই তা পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে। তাও ৭১ বছর পার করে। ৭১ বছর আগে সে যখন এসেছিল তখনও তাকে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছিল।
তবে সে সময় যাঁরা তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই হয়তো এখন আর বেঁচে নেই। আর যাঁরা আছেন তাঁরা সে সময় অধিকাংশজনই ছিলেন শৈশব বা বাল্যজীবনে। ফলে তাঁদের সেকথা মনে থাকার কথা নয়।
১৯৫৪ সালের ২২ জুন শেষবার সে এসেছিল পৃথিবীর সঙ্গে দেখা করতে। যাতায়াতের পথে সে প্রতি ৭১ বছরে একবার করে দেখা করে যায় পৃথিবীর সঙ্গে। বিজ্ঞানীরা তাকে ডাকেন ১২পি/পনস-ব্রুকস নামে।
তবে তার একটি পোশাকি নাম রয়েছে, ডেভিল কমেট। হ্যালির মত সর্বজনবিদিত সে নয়। তবে তার উপস্থিতি হ্যালির মতই সুন্দর। এই ধূমকেতুটিও চেহারায় বেশ বড়।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এভারেস্টের দ্বিগুণ হল এই ডেভিল ধূমকেতু। ২১ এপ্রিল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ থেকেই একে রাতের আকাশে দেখা যাবে।
২৬ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটতে থাকা এই ধূমকেতু ক্রমশ পৃথিবী থেকে দূরে যেতে থাকবে। ২ জুন পর্যন্তও তাকে দেখা যাবে।
১৮১২ সালে মহাকাশ বিজ্ঞানী জাঁ লুই পনস এই ধূমকেতুর কথা জানতে পারেন। সেকথা জানানও। পরে ১৮৮৩ সালে ৭১ বছর পার করে ডেভিল ধূমকেতু যখন ফের পৃথিবীর কাছে আসে তখন আর এক মহাকাশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস এই ধূমকেতু সম্বন্ধে আরও তথ্য দেন।
তাই এই ধূমকেতুর নামের সঙ্গে ২ বিজ্ঞানীর নামই জড়িয়ে যায়। তাই এখন অপেক্ষা আর কয়েকদিনের। তারপরই এক মহাজাগতিক বিস্ময় চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবেন বিশ্ববাসী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।