বিনোদন ডেস্ক : নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের পরিকল্পনা করছেন তার স্ত্রী আলিয়া। কিন্তু দুই সন্তান শোরা ও ইয়ানির দায়িত্ব আপাতত দুজনে মিলেই পালন করছেন তারা। তবে নওয়াজের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে আইনত বিচ্ছেদের আগেই নতুন প্রেমের ইঙ্গিত দিলেন নওয়াজ ‘বেগম’ আলিয়া সিদ্দিকী।
বেশ কিছুদিন ধরেই বলি তারকা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে তার স্ত্রী আলিয়ার নানা ঝামেলার ব্যাপারে সরগরম নেটপাড়া। এখনও তাদের আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এরই মধ্যে জানা গেল আলিয়া সিদ্দিকীর নতুন প্রেমের গুঞ্জন।
নওয়াজকে ভুলে এখন কার সঙ্গে প্রেম করছেন আলিয়া? সেই ব্যক্তির ব্যাপারে কোনো কিছুই জানা যায়নি। আপাতত তিনি ‘রহস্যময়’ কোন ব্যক্তি।
এদিকে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আলিয়া সিদ্দিকী ই-টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘হ্যাঁ, আমরা দুজনেই এই সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে গিয়েছি, এখন বরং আমরা বন্ধু। আমাদের মধ্যে আর কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। এখন আমি আমার মতো জীবন কাটাতে পারি, আমি আমার বাচ্চাদের সঙ্গে রয়েছি, ওদের কোনো সমস্যায় পড়তে দিতে চাই না। বরং এই সম্পর্কটাই বেশী সম্মানীয়। বিচ্ছেদ এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আসলে এটা অভ্যাস, আপনি যদি ভালো কিছুও করেন, তাহলেও মানুষ আপনার মধ্যে খারাপটাই খুঁজবেন।’
নাম না নিলেও নতুন প্রেমের কথা মেনে নিয়ে আলিয়া বলেন, ‘তিনি একজন দারুণ মানুষ, ভীষণ ভালো। আমি তার বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ। শুধু মাত্র অর্থই সুখ আনতে পারে না। তিনি আমাকে শ্রদ্ধা করেন। তবে তিনি এদেশীয় নন, ইতালির, আমাদের দুবাইতে আলাপ হয়। আমরা অনেক দিনের বন্ধু। তিনি আমাকে যথেষ্ট সম্মান দেন।’
সম্প্রতি সন্তানদের নিয়ে নওয়াজের দুবাই যাওয়া প্রসঙ্গে আলিয়া বলেন, ‘নওয়াজ সম্প্রতি দুবাই এসেছেন, আমাদের মধ্যে বিষয়টা মিটে গিয়েছে। তার সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে, বাচ্চারা এখানেই থাকবে। ওরা খুশি থাকলেই আমি খুশি।’
নওয়াজের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেই নিজের নামের পাশ থেকে সিদ্দিকী পদবী সরিয়ে ফেলবেন বলে জানান আলিয়া। তার কথায়, ‘আমি আর কারোর পদবী ব্যবহার করব না। আমি আমার নিজের নামটুকুতেই খুশি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে আইনি লড়াইয়ের সময় নওয়াজের আইনজীবী জানিয়েছিলেন আলিয়া একাধিকবার বিয়ে করেছেন, আর পদবী বদলেছেন। বলা হয়েছিল, ২০০১ সালে ক্লাস এইট ফেল আলিয়া- বিয়ে করেন বিনয় ভার্গভ নামের এক ব্যক্তিকে। তখন আলিয়ার নাম ছিল অঞ্জলি কুমারী। পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ে আসার পর আলিয়ার নাম হয় অঞ্জলি পাণ্ডে। ২০১০ সালে নাম পাল্টে তিনি হন অঞ্জলি আনন্দ। পরবর্তী সময়ে রাহুল এবং এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন আলিয়া। তখন নাম ছিল অঞ্জনা। পরে রাজকুমার শুক্লা নামে এক ব্যক্তিকেও বিয়ে করেছিলেন। তাদের নাকি আইনি বিচ্ছেদ হয়নি বলেও জানিয়েছিলেন নওয়াজ। আবার পরে নাকি ইসলাম গ্রহণ করে আলিয়ার নাম হয়েছিল জয়নব।
সূত্র: ই-টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।