বিনোদন ডেস্ক : ইন্ডাস্ট্রিতে ৩০ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাঁটা পড়েনি। ‘দুই পাতা’ থেকে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু করার পর থেকে দর্শকই হয়ে ওঠেন তাঁর ‘অমর সঙ্গী’। কখনো প্রেম কখনো অ্যাকশন, নানারূপে পর্দায় তিনি হয়ে উঠেছেন ‘মনের মানুষ’, কখনো আবার মসিহা। শুধু কি পর্দায়? না, বাস্তবেও ইন্ডাস্ট্রির অনেক ভারই তিনি তুলে নিয়েছেন কাঁধে।
তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন ইন্ডাস্ট্রি। তবে তাঁকে ইন্ডাস্ট্রি বলায় তিনি মোটেও খুশি হন না, বরং তিনি বলেন, ‘আমি ইন্ডাস্ট্রি নই, আমি ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ পুত্র।’ ৬০ বছরেও যিনি ফিটনেসে হার মানান ৩০-এর যুবককে, তিনি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও এসেছে নানা মোড়। তবে ঘুরে দাঁড়ানো যিনি আত্মস্থ করেছেন, তিনি তো ফিরবেনই! ফিরেওছেন। অতীতকে সঙ্গী করেই এগিয়েছেন ভবিষ্যতের দিকে।
দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে তাঁর প্রথম প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ। অভিনেতা নিজেই বলেছেন, বিচ্ছেদের পর দেড় বছর নিজেকে গৃহবন্দি করেছিলেন তিনি। একসময় যেমন তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন দেবশ্রী প্রসঙ্গে, এখন ভারতীয় গণমাধ্যম ‘জি ২৪ ঘণ্টা’র এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ।
দেবশ্রী রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথমত প্রথম প্রেম, প্রথম ভালোবাসার জায়গাটা সব সময় আলাদা হয়। দ্বিতীয়ত, আমি খুব কম বয়সে বিয়ে করেছিলাম। যদি আরো পাঁচ বছর পর বিয়ে করতাম, পরিণতভাবে তাহলে এই বিষয়গুলো সামলাতে পারতাম। কিন্তু আমি কখনো কোনো জায়গায় কাউকে দোষ দিইনি, সব দোষ আমার। বিয়ে ভাঙার পরে মনে হয়েছিল যে আমি সকলের সামনে যাব কী করে? এই যে সবাই জানত যে আমাদের একে অপরের প্রতি প্রেম ছিল।
তাহলে এখন সবাই ভাববে, আমাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিল না। কেউ হয়তো বলবে না, কিন্তু মনে মনে হয়তো এটাই ভাববে যে আমি ভালোবাসতে পারিনি। এটা আমায় লজ্জা দিত। এটা মনে মনে আমায় কষ্ট দিত, অভিমান হতো। তাই লোকের সামনেও যেতাম না। প্রায় দেড় বছর নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলাম। সেই সময় বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে পরিচালক, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমায় বারবার বলত এটা লাইফ নয়। তরুণ মজুমদারও বলেছিলেন এটাকে প্রশ্রয় দিও না।’
কিন্তু এরপর? কখনো কী মনে হয়েছে, দেবশ্রীর সঙ্গে কথা বলা যেত? এই প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আজকের দিনে দেখা হলে তো কোনো ব্যাপারই নয়। আমি সব সময় ওকে সম্মান দিয়েছি। আমি সব সময়ই বলি যে আমাদের সময়ের সেরা অভিনেত্রী ও। এটা আমি বারবার বলেছি। এখন আমরা বন্ধু হতেই পারি। অনেক বছর কেটে গেছে, মিশুকেরও বান্ধবী হয়ে গেছে। তাহলে কেন নয়?’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।