জুমবাংলা ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসন থেকে আটটি ছোট-বড় রাজনৈতিক দল ও দু’জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে থেকে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী।
এদিকে টানা ৩য় বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে পারলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হেভিওয়েট দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর চাপে রয়েছেন এনামুর রহমান। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনের মাঠে তাদের পছন্দের প্রার্থীর জন্য প্রচার করছেন।
সাভার ও আশুলিয়া থানা এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত রাজধানী ঢাকার পাশের এ শিল্পাঞ্চল’খ্যাত ঢাকা-১৯ আসন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আসনটিতে মোট ভোটার সাত লাখ ৫৬ হাজার ৪১৬ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই হচ্ছে তিন প্রার্থীর মধ্যে।
এরা হলেন- নৌকা প্রতীক নিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম। অন্য প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আইরীন পারভীন (কাঁঠাল), গণফ্রন্টের নূরুল আমীন (মাছ), তৃণমূল বিএনপির মাহাবুবুল হাসান (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিলন কুমার ভঞ্জ (ডাব), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মো. ইসরাফিল হোসেন সাভারি (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. জুলহাস (একতারা) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মো. সাইফুল ইসলাম মেম্বার (নোঙর)। এরআগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসনটিতে পর পর দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সরেজমিন ভোটার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ডা. এনাম টানা দশ বছর এমপি থাকলেও তার প্রতিশ্রুতির অনেক কাজ করতে পারেননি। এ ছাড়া তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তার দূরত্বের কারণে এবার আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সেই সব দিক মিলিয়ে
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিজয়ী হওয়া অনেকটাই কষ্টকর।
অন্যদিকে দশ বছর পর্দার আড়ালে থাকলেও মুরাদ জং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্র্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর থেকে তৃণমূল আওয়ামী লীগের একটি অংশ তার পক্ষে কাজ করছেন। অপরদিকে তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম। যারা ভোটের সব সমীকরণ পাল্টে দিতে পারেন। সব দিক বিবেচনা করে ভোটাররা মনে করেন, তরুণরা যেদিকে যাবেন, জয়ের মালা তার গলায় ঝুলবে।
আবার অনেকে বলছেন, আসনটিতে নৌকার জেতা কঠিন হবে কারণ সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের পারিবারিক পরিচিতি, সাবেক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও বেশ কয়েকটি ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় তিনি এবার এনামুর রহমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী।
অপরদিকে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলামও আছেন শক্ত অবস্থানে। তাকে সমর্থন দিচ্ছেন পাথালিয়া ও ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এদিকে নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী পথসভা, গণসংযোগে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে মাঠ ততই গরম হয়ে উঠছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।