ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, চার ঘন্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নয়াডিঙ্গি এলাকায় অবরোধ করে চলাচলের রাস্তার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। মহাসড়ক অবরোধের ফলে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় স্থানীয় গোলড়া, চর গোলড়া,চান্দি গোলড়া, মধ্য গোলড়া সহ কয়েকটি গ্রামের শত শত বাসিন্দা সড়কে অবস্থান নেন।

এ সময় স্থানীয়রা ‘রাস্তা রাস্তা রাস্তা চাই, রাস্তা ছাড়া উপায় নাই, এক দফা এক দাবি, আমাদের রাস্তা এখন দিবি’ এই স্লোগান দেন।

স্থানীয়রা জানান, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের গোলড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে তারাসিমা অ্যাপারেলস ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে ২টি কোম্পানি। প্রায় শত বছরের পুরানো সড়ক বন্ধ হওয়ায় তাদের চলাচলে বেশ সমস্যা হচ্ছে। কয়েক কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয় তাদের। এর জের ধরে সড়ক পুনরুদ্ধারের দাবিতে, ধানকোড়া ইউনিয়নে তারাসীমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পেয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের গেট-সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নেয় গ্রামবাসী।

প্রশাসন ও দুই কোম্পানির প্রতিনিধি ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চলছে।

মহাসড়ক অবরোধকারীদের দাবি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন স্থানীয় নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে সড়কে রাতারাতি পাকা দেয়াল তুলে দেয় কোম্পানি দুটির লোকজন। কোম্পানির প্রতিনিধিরা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্বাস দিয়ে মহাসড়ক থেকে তাদের সরানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা বলছেন, যতক্ষণ না সড়ক খুলে দেয়া হবে, ততক্ষণ তারা মহাসড়ক ছাড়বেন না।

এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছে স্থানীয়রা। এতে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। দুই পক্ষের সাথেই আলোচনা চলছে। আশা করি বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, মহাসড়ক অবরোধকারী স্থানীয় জনগণ ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।