Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home রিকশার শহর ঢাকা এখন মোটরসাইকেলের দখলে
জাতীয়

রিকশার শহর ঢাকা এখন মোটরসাইকেলের দখলে

Saiful IslamMay 30, 20225 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : এক সময় রিকশার শহর হিসেবে পরিচিত ঢাকা এখন মোটরসাইকেলের দখলে। ৯৮ লাখ ৩৪ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৮ লাখের মতো।

সেখানে মাত্র ৩০৬ বর্গকিলোমিটারের ঢাকায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেল প্রায় সাড়ে ৯ লাখ। প্রতিদিনই রাজধানীর সড়কে গড়ে নামছে ৩৭০টি নতুন বাইক। এ ছাড়া রাইড শেয়ারিংসহ নানা কারণে ঢাকার বাইরে থেকেও ঢুকছে এই দ্বিচক্রযানটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসম্মত গণপরিবহন ব্যবস্থার অভাবে ও সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রাজধানীতে হু হু করে বাড়ছে মোটরসাইকেল।

বর্তমানে সড়কের সক্ষমতার চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি মোটরসাইকেল চলছে ঢাকার রাস্তায়, যা ট্রাফিক ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া নাবালকরাও মোটরসাইকেল নিয়ে রাজপথে নামছে, যা পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। যানজট ও গণপরিবহন সংকটে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া বাহনটি ক্রমেই রাজধানীর জঞ্জালে পরিণত হচ্ছে।

এদিকে মোটরসাইকেলের তান্ডবে কোণঠাসা অন্যান্য যানবাহন, এমনকি পথচারীরা। হুটহাট উঠে যাচ্ছে ফুটপাথে। উল্টো পথে গিয়ে আটকে দিচ্ছে অলিগলি। সিগনাল ছাড়ার আগেই টান দিয়ে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। যানজটের মধ্যেও হর্নে অস্থির করে ফেলছে পুরো এলাকা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যানুযায়ী, গত এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, টেম্পো, প্রাইভেট কার, কাভার্ডভ্যানসহ নিবন্ধিত সব ধরনের যানবাহনের মোট সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৯৮৭টি।

এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেলের সংখ্যাই ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৮টি, যা মোট যানবাহনের ৫০.৮৬ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই ঢাকায় নিবন্ধন হয়েছে ৪৪ হাজার ৪১২টি মোটরসাইকেল।

গড়ে প্রতিদিন নিবন্ধিত হয়েছে ৩৭০টি। অন্যদিকে সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫২ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৬টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬১টি, যা মোট যানবাহনের ৭০.৪৮ শতাংশ।

তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার বাইরের অন্তত ১০ লাখ মোটরসাইকেল এখন চলছে রাজধানীতে। সব মিলে ঢাকার সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ২০ লাখ মোটরসাইকেল। এদিকে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং চালুর পর রাজধানীতে দ্রুত বেড়েছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (এআরআই) গবেষণা অনুযায়ী, সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে মোট নিবন্ধিত মোটরসাইকেল ৮ লাখের মতো। ২০১৭ সালে রাইড শেয়ারিং নীতিমালা চালুর পর পাঁচ বছরে দেশটিতে নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে দুই লাখের কাছাকাছি। এ সময়ে ঢাকায় নিবন্ধিত হয়েছে প্রায় ৫ লাখ।

অন্য জেলার বাইক ঢাকায় : শুধু ব্যক্তিগত কারণেই নয়, রাইড শেয়ারিংয়ের জন্যও প্রচুর মোটরসাইকেল ঢুকেছে ঢাকায়। সবচেয়ে বেশি ঢুকেছে করোনার দুই বছরে।

গতকাল সরেজমিন রাজধানীর সড়কে নোয়াখালী, রাজশাহী, পঞ্চগড়, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলার মোটরসাইকেল চলতে দেখা যায়। শুধু নতুন বাজার মোড়েই দুপুরে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় বরগুনা হ-১১-৬৯৭৯, ফেনী হ-১২-৭৭৮৭ ও চট্রো মেট্রো ল-১২-৩৭৯৫ নম্বরের বাইক তিনটিকে।

এআরআইর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ঢাকা শহরে মোটরসাইকেলের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান কেউ বলতে পারবে না। তবে সড়কের সক্ষমতার চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি যানবাহন আছে।

আর ১০০টি যানবাহনের মধ্যে ৬০-৭০টিই মোটরসাইকেল। তিনি বলেন, গত ঈদে মোবাইল সিমের মুভমেন্ট দেখে বোঝা গেছে ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। গণপরিবহন মালিকদের প্রত্যাশা ছিল ৪০ লাখ যাত্রী পরিবহন করবে।

তারাই বলছে ৫০ ভাগ যাত্রী পায়নি। তাহলে এই ২০ লাখ মানুষ গেল কীভাবে? অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি গেছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায় এটা ১০ লাখের বেশি। তখন ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের মোটরসাইকেল কিন্তু ঢাকাতেই ছিল।

এতেই অনুমান করা যায় রাজধানীতে কত মোটরসাইকেল চলছে। তিনি বলেন, ক্যান্সারের সেলের মতো মোটরসাইকেল যেভাবে বাড়ছে, এটা মহাভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যানজট বাড়াবে।

গবেষণায় দেখেছি, কিছু বাইকার ১০ মিনিটে ৬০ বার ডান-বাম করতে থাকে। যেখানে ফাঁকা পায় সেখানে ঢুকিয়ে দেয়। গাড়ির ফাঁক দিয়ে কেটে-কুটে সামনে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।

এতে একদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে যানজট বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, সিগনাল পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের ইশারায় সব গাড়ি থেমে যাচ্ছে, কিছু বাইকার আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে টান দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। কারণ, সে সড়কের আইন জানেই না বা মানতে চায় না।

তিনি বলেন, জাপানে ২০১০ সালে মোটরসাইকেল ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ। ২০২০ সালে বাড়েনি, ২৫ লাখ কমে ১ কোটিতে নেমেছে। এতে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনাও কমেছে দেশটিতে।

তারা গণপরিবহন ব্যবস্থা এবং রেল সেবা ভালো করে তাদের দেশে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি, করের হার, পার্টসের দাম এবং পার্কিং চার্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়াও আরেক চ্যালেঞ্জ।

পুরো বিশ্ব যখন গণপরিবহনকেন্দ্রিক উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, আমরা তখন মোটরসাইকেলকেন্দ্রিক উন্নয়নে যাচ্ছি। এখানে গত বছর মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

আবার মোটরসাইকেলের আমদানি যন্ত্রাংশে ডিউটি ট্যাক্স ৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ৭০ শতাংশ যন্ত্রপাতিই আমদানি হয়। মনে হতে পারে মাত্র ৫ শতাংশ ডিউটি ট্যাক্স খুব কম। কিন্তু বছরে ৫-৬ লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়। তাই এর প্রভাব অনেক।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই ২৩ লাখের : বাংলাদেশে ৩৬ লাখ ৭৮ হাজার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন থাকলেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া চালকের সংখ্যা ২৩ লাখ ৫০ হাজারের মতো। অর্থাৎ, ১৩ লাখ চালকেরই নেই মোটরসাইকেল চালানোর অনুমোদন।

রাজধানীর সড়কে হরহামেশা স্কুলপড়ুয়া ছেলেদেরও দেখা যায় বাইক চালাতে। মাত্রাতিরিক্ত বাইক বৃদ্ধি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিআরটিএর মুখপাত্র (পরিচালক, রোড সেফটি) শেখ মোহাম্ম’দ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, মোটরসাইকেল বাড়লে সমস্যা কোথায়?

আইন ভাঙছে কি না এটাই দেখার বিষয়। বর্তমানে লার্নার লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দিচ্ছি না। সামনে পূর্ণ লাইসেন্স ছাড়া না দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এ ব্যাপারে ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, লার্নার লাইসেন্সধারী কাউকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেওয়া আর শিশুর হাতে লোড করা বন্দুক তুলে দেওয়া একই কথা।

লার্নার মানে সে এখন শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দিয়ে পাস নাও করতে পারে। সে তো দুর্ঘটনা ঘটাবে। অনেক মোটরসাইকেল চালককে দেখলেই বোঝা যায় বয়স ১৮ হয়নি। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল নিবন্ধন তো দূরের কথা, বিক্রিই করা ঠিক না। একটা সময় বিআরটিএ এটা চেয়েছিল। কিন্তু বিপণনকারীরা মেনে নেয়নি। আমাদের সড়ক পরিবহন আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে যে কোনো শহরে, যে কোনো এলাকায় এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে মোটরসাইকেলের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিটি সড়কের একটা সক্ষমতা আছে। এরই মধ্যে ঢাকা সক্ষমতার অনেক বাইরে চলে গেছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যা এখন অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংখ্যা এভাবে বাড়লে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষে চোখে দেখে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। চাইলেই ঢাকায় রাস্তা বাড়ানো সম্ভব না। তাই এখনই ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু, যাত্রীবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা দরকার। কিন্তু এখানকার পলিসি উল্টো পথে চলছে।

‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড’, স্মরণ করালেন শেখ সেলিম

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
এখন জাতীয় ঢাকা দখলে মোটরসাইকেলের রিকশার শহর
Related Posts
ভয়াবহ আগুন

চট্টগ্রামে ঝুট ও ফোমের গুদামে ভয়াবহ আগুন

December 16, 2025
হত্যাচেষ্টা

হাদি হত্যাচেষ্টা: নির্বাচনি প্রচারে থাকা আরেক সন্দেহভাজন চিহ্নিত

December 16, 2025
বিটিআরসি

এনইআইআর চালু নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বিটিআরসি

December 16, 2025
Latest News
ভয়াবহ আগুন

চট্টগ্রামে ঝুট ও ফোমের গুদামে ভয়াবহ আগুন

হত্যাচেষ্টা

হাদি হত্যাচেষ্টা: নির্বাচনি প্রচারে থাকা আরেক সন্দেহভাজন চিহ্নিত

বিটিআরসি

এনইআইআর চালু নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বিটিআরসি

ওসমান হাদি

ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধ মস্তিষ্ক ছাড়া অন্য অঙ্গগুলো এখনো নিয়ন্ত্রণযোগ্য : সরকারের ব্রিফিং

News a

তিন উপদেষ্টার পদত্যাগের আল্টিমেটাম ডাকসু ভিপির

শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার সাজা বাড়াতে আপিল করবে প্রসিকিউশন

সেলফি মাসুদ

হাদিকে গুলি: ভারতে গিয়ে সেলফি মাসুদের

মার্কিন দূতাবাস

বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা জারি

সারজিস

বাংলাদেশকে আবার পরাধীন করার চেষ্টা চলছে : সারজিস

Minister

সবকিছু এখানে বলা যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.