জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগরীর বাতাস যে ক্রমাগত দূষিত হচ্ছে, তা হয়তো নগরবাসীর অনেকেই জানেন। কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কি? ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এসব সমস্যা মোকাবিলায় উদ্যোগ নিয়েছে। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরীর ২৫টি গণপরিসরে বাতাসের গুণগতমান যাচাই করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানো হবে। এই উদ্যোগের সহায়তা করছে ব্লুমবার্গ।
Table of Contents
ডিএনসিসির উদ্যোগে নতুন অধ্যায়
ডিএনসিসির এই উদ্যোগটি ৫ মে ২০২৫ তারিখের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়। Wikipedia থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ঢাকা মহানগরী বিশ্বের অন্যতম জনবহুল শহর হিসেবে পরিচিত, যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মানুষের ঘনত্ব অনেক বেশি। এ অবস্থায় সেখানে ভারী, দূষিত এবং তাপমাত্রায় অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ডিএনসিসির বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, উদ্ভিদবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “আমাদের এ উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব এবং বাসযোগ্য শহর তৈরি করা।” এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন যে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় এবং খালগুলোর দুই পাড়ে গাছ লাগানোর জন্য উদ্ভিদবিদদের সহায়তায় কাজ করা হবে।
জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রকল্পের ভবিষ্যৎ
ডিএনসিসি আশা করছে যে, এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র সরকারের উদ্যোগ নয়, বরং স্থানীয় জনগণকেও এতে সম্পৃক্ত করা হবে। এ বিষয়ে বোঝানোর জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় জনগণকে এ ধরনের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করা হবে।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, “জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা তাপদাহ, বায়ুদূষণ এবং পরিবেশ দূষণ রোধে কাজ করতে চাই।” স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া এই ধরনের প্রচেষ্টায় সফলতা অর্জনের সম্ভাবনা কম। এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন, কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন ঢাকা নর্থ এবং সিএপিএস-এর যৌথ উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা
ব্লুমবার্গের সহায়তায় এই প্রকল্পটি গণপরিসরের উন্নয়ন এবং বায়ুদূষণের মাত্রা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, “বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের তাদের গবেষণালব্ধ তথ্যগুলো যদি আদান প্রদান করে, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে তা দারুণ হবে।” তিনি আরও বলেছেন যে, নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগ করে শহরের বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ডিএনসিসির ইনোভেশন ল্যাবে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এই পদক্ষেপগুলো নিয়ে ডিএনসিসি মানসম্পন্ন বায়ু এবং বাসযোগ্য বিমান্ন পরিসর তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা ঢাকা মহানগরীর ভবিষ্যৎ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রশ্নোত্তর (FAQs)
১. ঢাকার কোন কোন জায়গায় এই যন্ত্রগুলো বসানো হবে?
এই যন্ত্রগুলো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ২৫টি গণপরিসরে বসানো হবে।
২. জনগণকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা হবে?
জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যেখানে স্থানীয় জনগণকে তাপদাহ, বায়ুদূষণ এবং পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সচেতন করা হবে।
৩. এই প্রকল্পের মাধ্যমে কি লক্ষ্য অর্জন করা হবে?
প্রকল্পের লক্ষ্য হল ঢাকা মহানগরীর বাতাসের গুণগতমান বৃদ্ধি এবং শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা।
৪. এই যন্ত্রগুলো কিভাবে কাজ করবে?
এই অত্যাধুনিক যন্ত্রগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতাসের দূষণ মাত্রা পরিমাপ করতে সক্ষম এবং নির্ঘন্টভিত্তিক তথ্য প্রদান করবে।
৫. কি ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হবে?
প্রশিক্ষণ কর্মশালাগুলোর মূলত জনগণকে তাপদাহ, বায়ুদূষণ এবং পরিবেশ দূষণের কুফল সম্পর্কে সচেতন এবং প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়ার ওপর কেন্দ্রিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।