জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগরীতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হয়েছে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস। নতুন পদ্ধতিতে গাজীপুর-ঢাকা সড়কের বিভিন্ন রুটে প্রথম অবস্থায় ২১টি কোম্পানির ২ হাজার ৬১০টি বাস চলবে বলে জানা গেছে। এসব গাড়ির রঙ হবে গোলাপি। যদিও এখন পর্যন্ত সব বাসের রঙ পরিবর্তন করা হয়নি।
তবে এরমাঝে যাত্রী দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে। হঠাৎ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় ভিক্টর পরিবহন, রাইদা, তুরাগসহ কাউন্টারভিত্তিক বিভিন্ন বাস উধাও হয়ে গেছে! ফলে প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাত্রীদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে।
সকাল আটটার দিকে ভিক্টর এবং আজমেরী পরিবহনে চলাচল করেন এমন যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। কারণ এই সময়ে ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে কাকরাইল পর্যন্ত রুটে রাস্তার উভয় পাশে মাত্র দুটি বাস দেখা গেছে। তবে কেন গাড়ি নেই, সেই উত্তর নেই কারও কাছে।
এদিকে রোববার থেকে সদরঘাট থেকে গাজীপুর রুটে চলাচল করা ভিক্টর পরিবহনের কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে এই রুটে কোনো কাউন্টার দেখা যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার জন্য ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশে রোববার যেখানে কাউন্টার ছিল সেখানে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কিন্তু বাসও নেই, কাউন্টারও নেই দেখে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁতীবাজার মোড়ে বাসটির একটি কাউন্টার ছিল রোববার। কিন্তু সোমবার সকালে সেখানেও কাউন্টার দেখা যায়নি। অথচ বাসের অপেক্ষায় ছিলেন যাত্রীরা।
ফুলবাড়িয়া সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের উল্টোদিকে ভিক্টরের কাউন্টারও দেখা যায়নি। ফলে ব্যস্ত এই এলাকায় বাসের অপেক্ষায় লম্বা সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। পল্টন মোড়ের কাউন্টারও উধাও হয়ে গেছে। তবে এসব জায়গায় আজমেরী ও গাজীপুর রুটের অন্য বাসের কাউন্টার দেখা গেছে।
এছাড়া রাইদা ও তুরাগ বাসও আজ সকাল থেকে রাজধানীর সড়কে দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো ও শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিতে টিকিট কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু করা হয় বৃহস্পতিবার।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা ২১টি কোম্পানির বাস একক কোম্পানির অধীন পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এর আওতায় প্রায় ২ হাজার ৬১০টি বাস চলাচল করবে। বাসগুলোর রঙ হবে গোলাপি।
সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব বাস চলবে কাউন্টার–পদ্ধতিতে। যাত্রীদের নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করে বাসে যাতায়াত করতে হবে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া বাস দাঁড় করানো হবে না। যাত্রী ওঠানামাও করবে নির্দিষ্ট স্থানে। বাসে ওঠানামার জন্য ঢাকার বিভিন্ন অংশে থাকবে প্রায় ১০০টি স্টপেজ। তবে এখনো সব স্টপেজে কাউন্টার বসানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।