জুমবাংলা ডেস্ক : গত ২১ মার্চ সকালে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল বাতাসের প্রভাবে ঢাকা বিমানবন্দরের পরিত্যক্ত বিমান রাখার স্থানে রাখা সেসনা-১৫০জি মডেলের ট্রেনিং বিমানটি উল্টে যায়।
S2-ABB রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারধারী এক ইঞ্জিনের বিমানটি মূলত বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি দ্বারা পাইলট প্রশিক্ষণের জন্য পরিচালিত হয়েছিল, কিন্তু বেশ কয়েক বছর আগে ব্যবহার থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।বিমানটি মূলত ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকারের কাছে পৌঁছায়, পরে এটিকে পূর্ব পাকিস্তান ফ্লাইং ক্লাবে দেওয়া হয় যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবে পরিণত হয়। এই বিমানটি ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বেসামরিক নিবন্ধিত বিমান। এমনকি আমাদের দেশের অসংখ্য পাইলট এই বিমানটি নিয়েই তাদের প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেছিলেন।
আমেরিকার তৈরী এই সেসনা-১৫০ সিরিজের বিমান সর্বপ্রথম আকাশে ওড়ে ১৯৫৮ সালে। এর মধ্যে ১৫০জি ভ্যারিয়েন্টের বিমানটি ১৯৬৭ সালে বাজারে আসে। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ২৩,৮৩৯টি সেসনা-১৫০ বিমান তৈরী করা হয়।
একজন ক্রু এবং একজন যাত্রী পরিবহন করতে সক্ষম বিমানটি মুলত: সারা বিশ্বেই বেসিক ট্রেনিং এয়ারক্রাফট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেসনা-১৫০ বিমানটি সর্বোচ্চ ২০২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম ছিল। যা একবার জ্বালানী নিয়ে সর্বোচ্চ ৭৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম ছিল। বর্তমানেও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট একাডেমিগুলোতে সেসনা-১৫০, ১৫২ এবং ১৭২ মডেলের বিমানগুলো তুমুল জনপ্রিয়।
ছবি এবং তথ্য সূত্র : বাংলাদেশ এভিয়েশন হাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।