জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দেশের ২য় বৃহৎ মহাসড়ক। ঈদসহ যেকোনো উৎসবের ছুটিতে এ মহাসড়কে যানজট এবং ভোগান্তি নিয়মিত ঘটনা। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার কালিহাতীর উপজেলার এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজটের শংকা বেশি থাকে। তবে এবার যানজট এড়াতে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা।
জানা যায় গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ঈদের আগেই মির্জাপুরের গোড়াইয়ে ফ্লাইওভার চলাচলের জন্য খুলের দেওয়া হবে। তারপরও ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যানজটের আশংকা রয়েছে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত। কোনো কোনো সময় যানজট সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস পর্যন্ত লেগে যায়।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সড়কের কারণে দ্রুত চলে আসে। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক। আর সেতুগুলোও দুই লেনের। যানবাহন এলেঙ্গা পর্যন্ত এসে ধীরগতি হয়ে যায় দুই লেনের মুখে। ফলে যানজটের শুরু হয়। এ ছাড়া সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতির কারণেও যানজট লেগে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে থেকে অনেকে অসুস্থও হয়ে যান। ট্রাকে থাকা কাঁচামাল পচে নষ্ট হয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পি বলেন, প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে ২০/২১ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। ঈদের সময় যানবাহন পারাপার হয় ৩৫/৩৬ হাজার পর্যন্ত। স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক যানবাহন পারাপার হওয়ায় দুই লেনের সড়কে যানজট লেগে যায়। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশেও দুই লেনের সড়ক। এ কারণে পশ্চিম প্রান্তের যানজট লেগে সেতু অতিক্রম করে টাঙ্গাইল অংশে চলে আসে।
তিনি আরো বলেন, মহাসড়কে কোন খানাখন্দ নেই। যান পারাপারের জন্য দুপাশে মোট ১৮টি টোল বক্স সচল থাকবে। আশা করি ঈদে মানুষ স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরতে পারবেন।
সরেজমিনে মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে ঘুরে দেখা যায়, চার লেনের সুবিধার কারণে যানবাহন দ্রুত গতিতে চলাচল করছে। ঈদ উপলেক্ষ এলেঙ্গা ভূঞাপুর লিংক রোডে রাস্তা প্রসারিত করা করা হচ্ছে। গাড়ির বাড়তি চাপ হলে বঙ্গবন্ধু সেতুর গোলচত্বর দিয়ে ভূঞাপুর হয়ে এলেঙ্গা উঠবে।
গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের ওসি আজিজুল হক বলেন, গোড়াই ফ্লাইওভারটি খুলে দিলেই আমার ৩৮ কিলোমিটার মহাসড়কে আরা কোনো সমস্যা নেই।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঈদের ছুটির সময় মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ৮ শতাধিক পুলিশ কাজ করবে। এ ছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা কয়েকটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপারে জনপ্রিতিনিধি, বাস মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে একাধিকবার সভা হয়েছে। রাস্তায় খাবার ও ভ্রাম্যমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে। মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।