জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীতে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আজ। এছাড়া জামায়াত ছাড়া ছোট ছোট দলের কর্মসূচিও রয়েছে। ইতোমধ্যে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নির্বাচনের আগে এমন কর্মসূচিতে অতীত ঘটনা স্মরণ করে পরিবহন ব্যবসায়ীরা আছেন ভয় ও শঙ্কার মধ্যে। সমাবেশের সময় প্রারম্ভিক স্টপেজ থেকে বাস ছেড়ে গন্তব্য পৌঁছে, সেখান থেকে আবার প্রারম্ভিক স্টপেজে ঠিকমতো বাসটি পৌঁছাবে কি না সেই শঙ্কাই করছেন তারা। সহিংসতার ভয়ে সড়কে গাড়ি নেই বললেই চলে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানিবাসী দেখতে পায় এক ভিন্ন চিত্র। যানবাহনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষজন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শামসুল আলম নামের একজন বেসরকারি অফিস কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক নেতারা এসব করবে আর আমরা ভোগান্তি পোহাবো। সকাল থেকে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। একটা গাড়িও নেই। পরে হেঁটেই রওয়ানা দিয়েছি অফিসে। এমন পরিস্থিতির অবসান দরকার।
মহাসড়কের চিটাগাং রোড থেকে হেঁটে সায়েদাবাদ যাচ্ছেন জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, আগে থেকেই ঝামেলার কথা জানি। তাই অনেক সকালে রওনা হয়েছি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার আজ সকাল ৯টা থেকে অফিস। কিন্তু দেখেন এখন প্রায় ১০টা। আমি এখনও হাঁটছি। এটার কারণ রাস্তায় গাড়ি নেই। রিকশা পেলেও ভাড়া বেশি। তাই বাধ্য হয়ে হেঁটে অফিস যাচ্ছি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, জনগণের স্বার্থেই আমরা রাস্তায় নিরাপত্তা দিচ্ছি। জনগণ যেন কোনো নিরাপত্তাহীনতায় না থাকে তার জন্য আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনছি। এছাড়া রাজধানীতে দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিক বিবেচনা করে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।