ভরা মৌসুমেও রাজধানীসহ সারাদেশে ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বাজারে কিছুটা ওঠানামা করলেও এখনও কেজিপ্রতি ১৬০০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ফলে বাঙালির পাতে জাতীয় মাছ তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাজধানীর কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও শ্যামবাজার ঘুরে দেখা গেছে—
এক কেজি ইলিশ: ২২০০–২৪০০ টাকা
৮০০–৯০০ গ্রাম ইলিশ: ১৮০০ টাকা
৫০০–৬০০ গ্রাম ইলিশ: ১৬০০ টাকা
দেড় কেজি ইলিশ: ৩০০০–৩২০০ টাকা
চাঁদপুর, খুলনা ও পটুয়াখালী বাজারেও একই চিত্র। খুলনায় গত সপ্তাহে কিছুটা কমলেও তিন দিনের ব্যবধানে আবারও কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা, পরপর লঘুচাপ এবং সরবরাহ কম থাকায় ইলিশের দাম বাড়ছে। নতুন চালান এলে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) অভিযোগ করেছে, আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা দাদন প্রথার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। ফলে প্রকৃত জেলেরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, বরং মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছেন।
মৎস্য অধিদফতর বলছে, সাগরে মাছ থাকলেও আবহাওয়ার কারণে জেলেরা নিয়মিত মাছ ধরতে পারছেন না। তবে আগস্ট-অক্টোবর মৌসুমে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে এক কেজি ইলিশ ১৫০০ টাকায় নেমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভোক্তাদের অতি ক্রয় ও মজুতের প্রবণতা কমানোর পাশাপাশি বাজারে হাতবদলের ধাপ কমালে দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে মনে করছে মৎস্য অধিদফতর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।