জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি গবাদি পশুর নকল ওষুধ তৈরির কারখানায় ও দোকানে অভিযান চালিয়ে কারখানা মালিক ফারহান আল মাহমুদকে দেড় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম ও প্রচুর পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সোমাবার (৬ জানুয়ারি) রাতে গোয়েন্দা সংস্থার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর ও করেরগাঁও এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। এসময় অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ভূমি অফিস, কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল, দক্ষিণের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়িতে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছিলেন ফারহান আল মাহমুদ। দেশি-বিদেশি কম্পানির নাম নকল করে এসব ওষুধ স্থানীয় দোকানসহ সারা দেশে সরবরাহ করা হতো। সহজ-সরল খামারিরা এসব ওষুধ কোরবানির গবাদি পশুর জন্য ব্যবহার করতেন। কারখানার বিষয়টি জানাজানি হলে কারখানার অবস্থান পরিবর্তন করে নতুন ঠিকানায় কার্যক্রম শুরু করতেন তিনি। তার ভেজল ওষুধ ব্যবহার করে গরুর বাছুর মারা যাওয়াসহ গবাদিপশুর নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।
‘সারাদেশে মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয় এমন কথা বলা ঠিক নয়’
কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল, দক্ষিণের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম পশুসম্পদ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য খাদ্য ও পশু খাদ্য আইন, ২০১০-এর ৪ ধারায় কারখানা মালিক ফারহান আল মাহমুদকে দেড় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ ভেজাল ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম এবং প্রচুর পরিমাণ নকল ওষুধ জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, অবৈধ ওষুধ তৈরি কারখানার বিরুদ্ধ্বে অভিযান চলমান থাকবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।