স্পোর্টস ডেস্ক : টানা দুটি বড় রানের ম্যাচ হয়ে গেল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। যদিও রানতাড়ায় ব্যাট করা দলগুলো সেভাবে লড়াই উপহার দিতে পারেনি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হয়েছেন দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। একমাত্র অ্যালেক্স রস কিছুটা লড়াই চালিয়েছেন। তার ফিফটি বাদে সেভাবে ঢাকাকে কেউ পথ দেখাতে পারেননি। ফলে বরিশালের কাছে তারা ৪০ রানে হেরেছে। চলতি বিপিএলে যা ঢাকার টানা অষ্টম হার।
শুরুতে ব্যাট করা তামিম ইকবালের দল দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। যদিও সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত বরিশাল ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পেয়ে যায়। সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে হোঁচট খায় ঢাকাও। কিন্তু তাদের গর্ত থেকে টেনে তোলার মতো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি কেউ। বিদেশি ব্যাটার অ্যালেক্স রস ছাড়া কয়েকজন দুই অঙ্কের ঘর ছুঁলেও, তা ছিলই ওয়ানডে ঘরানার। সবমিলিয়ে অলআউট হওয়ার আগে তাদের দৌড় ১৪৯ রান পর্যন্ত।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকার শুরুটাই ছিল ধীরগতির। প্রথম ওভারে মাত্র ৫ রান তোলা দলটি পরের ওভারে ওপেনার সাব্বির হোসেনকে হারায়। এরপর মোহাম্মদ নাঈম শেখ থিতু হতে থাকলেও, ব্যক্তিগত মাত্র ১০ রানে তিনিও খেই হারান। দ্রুত উইকেট হারাতে থাকা দলটি পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে তোলে ৪১ রান। পরের ওভারে সাইফ হাসানকে (১২) হারাতেই তারা আরও গভীর খাদে পড়ে যায়। সেই খাদ পূরণের দায় নিয়ে রসের সঙ্গে জুটি বাধেন এসএম মেহেরুব। রস স্বভাবসুলভ শট খেললেও, মেহেরুব হাত খুলতেই পারছিলেন না।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে ২০ বছর বয়সী এই তরুণ ২৯ বলে ২৮ রান করেন। আস্কিং রানরেট জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকায় তখন ঢাকার হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে যোগ হয়েছিল পরবর্তী ২১ রানে ঢাকার আরও ৪ উইকেটের পতন। শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মানসিকতা নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছিলেন রস। যদিও ১৯তম ওভারে তিনি বিদায় নেন। তার আগে ৩০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় রস করেন ৫২ রান।
মাঝে একটি ছয় ও চারের বাউন্ডারিতে ব্যবধান কমিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ১৯.৪ ওভারেই তার দল ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন মেহেদী মিরাজ ও ওবেদ ম্যাককয়।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করা বরিশাল মাত্র ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে বড় পুঁজি পাওয়া ছিল তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেই কঠিন কাজটা দারুণভাবে সম্পন্ন করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। দুজনেই ঝোড়ো ফিফটি পেয়েছেন। শেষদিকে শোয়েব মালিকও তাণ্ডব চালিয়েছেন। ৪৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৩ রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।
এরপর আর উইকেট হারায়নি বরিশাল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সৌম্য ও শোয়েব মালিক। শেষ তিন ওভারে তারা ৩১ রান যোগ করেন। সৌম্য ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। দুটি চার ও এক ছক্কায় ১০ বলে ১৯ রান করেন শোয়েব। ঢাকার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দলের প্রধান দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।