Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ধান বুড়ো হয়ে যাচ্ছে, সামাল দিতে এসেছে ‘জেনেটিক গেইন’
জাতীয়

ধান বুড়ো হয়ে যাচ্ছে, সামাল দিতে এসেছে ‘জেনেটিক গেইন’

Shamim RezaMarch 13, 20235 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, সেইসাথে বৈচিত্র্যময় পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। তার সর্বশেষ সংস্করণ হল: ‘জেনেটিক গেইন’। খবর বিবিসি’র।

ধান

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের মতে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোনো ফসলের বৈশিষ্ট্যের উন্নয়ন ঘটানো, সেইসাথে নির্দিষ্ট শতাংশ বেশি উৎপাদন হওয়াকে ‘জেনেটিক গেইন’ বলা হয়।

এই প্রক্রিয়ায় ধানের এমন সব জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে, যেগুলো অল্প সময়ে বেশি বেশি উৎপাদন করতে সক্ষম। একইসাথে ধানের মানেরও উন্নয়ন ঘটবে।

এখানে মান বলতে মূলত ‘ধানের সুগন্ধ, চকচকে, দেখতে চিকন ও আকর্ষণীয়’ হবে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

এরইমধ্যে এই আধুনিক জাতের ধান দিয়ে ফলন শুরু হয়েছে, সেইসাথে গবেষণাও অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট এখন পর্যন্ত ১১৩টি উচ্চ-ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এরমধ্যে ৮টি হাইব্রিড জাতের। প্রতিটি জাতই কোনো না কোনো বৈশিষ্ট্যে অনন্য।

তবে বর্তমানে প্রচলিত বেশির ভাগ জনপ্রিয় ধানের জাতের বয়স ২৮-৩০ বছর ছাড়িয়ে গিয়েছে। এগুলোকে অনেক সময় ‘বুড়ো’ ধানও বলা হয়।

এসব ধানের ফলন সময়ের সাথে সাথে কমে আসতে শুরু করেছে।

এই সময়ের মধ্যে আরো অনেক নতুন জাত উদ্ভাবন হলেও, সেগুলো আগের জনপ্রিয় জাতগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে পারেনি।

ফলে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল বাংলাদেশ।

তবে ‘জেনেটিক গেইন’ সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে বলে আশা করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।

ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর সমাধান

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, প্রচলিত ধানের জাত যদি প্রতি হেক্টরে দেড় টন উৎপাদন হয়, সেখানে জেনেটিক গেইন প্রযুক্তির কারণে হেক্টর প্রতি দুই মন ধান উৎপাদন সক্ষম।

ফলে জেনেটিক গেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটানো এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রায় চার কোটি টন ধান উৎপাদন করা হয়েছে। সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ এই ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছয় কোটি টনে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

সেইসাথে ২০৫০ সালের মধ্যে ধানের উৎপাদন ২৫% বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের একদল গবেষক ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কীভাবে ধানের উৎপাদন বাড়ানো যায় তার একটি কৌশলগত গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

গবেষণায় ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আনুমানিক জনসংখ্যা হিসাব করে, চাষযোগ্য জমির পরিমাণ, বার্ষিক ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জলবায়ুর অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়।

সেখানে গবেষকরা বলেছেন, জেনেটিক গেইন বৃদ্ধি, অনাবাদী জমি চাষ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে প্রধান এই খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।

সব ধরনের পরিবেশগত প্রতিকূলতা বিবেচনা করে গবেষকরা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি হেক্টর জমিতে নয় দশমিক ছয় টন বোরো, খরা-প্রবণ এলাকায় প্রতি হেক্টরে ৬ দশমিক দুই, বন্যা-প্রবণ এলাকায় সাত দশমিক তিন ও লবণাক্ততার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আট দশমিক এক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

লক্ষ্য থাকবে মান উন্নয়নেও

সরকারের মূল লক্ষ্য ধানের উৎপাদন বাড়ানো হলেও আরেকটি লক্ষ্য কৃষির বাণিজ্যিকরণা।

এক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল ধানের পাশাপাশি প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বা উচ্চমানের ধান উৎপাদনেও জোর দেয়া হচ্ছে।

যে ধানের বাজারদর বেশি সেটিই উচ্চমানের ধান। এটি সুগন্ধযুক্ত, চিকন ও চকচকে হতে পারে।

ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের খন্দকার মো. ইফতেখারুদ্দৌলা বলেছেন, “মানুষ যখন থেকে ধান চাষ শুরু করেছে তখন থেকেই তারা ধানের ফলন বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সময়ের সাথে সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় হয়েছে। এভাবে উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি, মানের দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে। ধানের পপুলেশন ইমপ্রুভমেন্ট এবং সাইক্লিং ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে ধানকে মানসম্মত করা হচ্ছে।”

ধান ‘বুড়ো’ হচ্ছে কেন?

প্রচলিত ধানগুলোর ফলন কমে যাওয়ার পেছনে ধানের চারা কখন রোপণ করা হচ্ছে, ভূ-প্রকৃতি আবহাওয়া কেমন, ধানের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যে কোন পরিবর্তন আসছে কি না – এমন আরও নানা বিষয় নির্ভর করে।

মো: ইফতেখারুদ্দৌলা জানান, ধান একটি স্বপরাগায়িত ফসল। এর ফলে উৎপাদনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তবে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধানের রোগবালাইয়ের ধরণ, পোকামাকড়ের বায়োটাইপ প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে।

এমন আরও নানা কারণে বর্তমানে প্রচলিত জাতগুলোর উৎপাদন আগের চাইতে কমে গিয়েছে বলে তিনি জানান। এ কারণে ধানের প্রচলিত এই জাতগুলোকে অনেকেই ‘ধানের বুড়ো হয়ে যাওয়া’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

এছাড়া সময় মতো ধান রোপণ না করার একটা প্রভাবও এর উৎপাদনে গিয়ে পড়ে।

বাংলাদেশে ভোজ্য-তেলের মোট চাহিদার একটি বড় অংশ আমদানি করতে হয়। সেই আমদানিতে লাগাম দিতে এখন দেশের ভেতরেই তেলবীজের উৎপাদন বাড়ানোর হয়েছে।

এসব তেলবীজের চাষের মৌসুম হল, আমন ধানের ফলন শেষে ও বোরোর চারা রোপণের মাঝামাঝি সময়ে।

এতে বোরো ধান রোপণের সময় পিছিয়ে যাচ্ছে- বলছেন উদ্ভিদ প্রজনন বিজ্ঞানী মো: ইফতেখারুদ্দৌলা।

ফসলের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ধানের সর্বোচ্চ ফলন পেতে বছরের ৩১ জানুয়ারির আগে সব বোরো ধান রোপণ করে ফেলতে হয়।

কিন্তু কোথাও কোথাও এখনো বোরো ধান রোপণ করা হচ্ছে বলে তিনি দেখেছেন। অথচ নির্ধারিত সময়ের একদিন দেরিতে ধান রোপণ করলে প্রতি হেক্টরে ৮০ কেজি ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তাই ফলনের সাথে জাতের যেমন সম্পর্ক আছে, সেই সাথে এর ব্যবস্থাপনারও বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে বলে তিনি জানান।

আবার মাটি ও আবহাওয়ায় ওপরেও নির্ভর করে কোন জাতের ধান থেকে কি পরিমাণ ফলন হবে। এখানে কৃষকের চাহিদা ও বাজারের চাহিদার কথাও মাথায় রাখতে হয়।

জাত উদ্ভাবনে সময় লাগবে কম
আগামী দিনের ধানের জাতে জেনেটিক গেইন বা জিনগত ফলন অনেক বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ কারণে ধানের উৎপাদনশীলতা যেমন বাড়বে, তেমনি ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের সময়কাল চার থেকে পাঁচ বছর কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, বলছেন বলছেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।

ফলে আগে যেখানে ধানের একটি জাত উদ্ভাবনে ১০-১৫ বছর লেগে যেত এখন তা ৮-১০ বছরে সম্পন্ন করা যাবে।

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (ইরি) কারিগরি সহায়তায় এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়নে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) জেনেটিক গেইনের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তারা মূলত স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নত জাতের ধান নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্লেনে অসুস্থ, জরুরি অবতরণ করিয়েও বাঁচানো গেলো না যাত্রীকে

বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো, ধান উৎপাদন বা জেনেটিক গেইন বাড়ানোর জন্য ধানের প্রজনন চক্রের সময়কাল সংক্ষিপ্ত করা, প্রজনন লাইন নির্বাচন নির্ভুল করা, প্রজনন তথ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশল ব্যবহার এবং ব্যাপকভাবে সরেজমিন মাঠ গবেষণা করে নানা ধরনের জাত উদ্ভাবন করছে। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট।

বর্তমানে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ‘জেনেটিক এসেছে’ গেইন’ জেনেটিক গেইন দিতে ধান বুড়ো যাচ্ছে সামাল হয়ে
Related Posts
Probashi

‘প্রবাসীদের করমুক্ত বিনিয়োগ সুবিধা দেবে সরকার’

December 27, 2025
Tazul Islam

খুনিদের আমরা ধরবই : চিফ প্রসিকিউটর

December 27, 2025
Pagla Moszid

পাগলা মসজিদে এবার পাওয়া গেল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

December 27, 2025
Latest News
Probashi

‘প্রবাসীদের করমুক্ত বিনিয়োগ সুবিধা দেবে সরকার’

Tazul Islam

খুনিদের আমরা ধরবই : চিফ প্রসিকিউটর

Pagla Moszid

পাগলা মসজিদে এবার পাওয়া গেল ১১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা

কামাল আহমেদ

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাবও বাস্তবায়ন হয়নি: কামাল আহমেদ

জুবায়ের রহমান চৌধুরী

প্রধান বিচারপতি পদে জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ কাল

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করবেন যেভাবে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকার কোনো দলের পক্ষে নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ

৬৭ বছর পূর্ণ করে অবসরে গেলেন ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ

ঘন কুয়াশা

ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রধান বিচারপতি

অবসরে গেলেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.