জুমবাংলা ডেস্ক: মধুমতি নদীর ওপর ৬ লেনের কালনা সেতু চালু হচ্ছে শিগগিরই। নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৮৮ ভাগ। সেতুটি চালু হলে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ১২১ কিলোমিটার। আর ২০০ কিলোমিটার কমবে ঢাকা-কলকাতা দূরত্ব।
পুরোদমে এগিয়ে চলছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত কালনা সেতুর নির্মাণকাজ। ২০২০ সালের ১৫ মে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ‘ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ এর আওতায় শুরু হয় সেতুর নির্মাণকাজ।
দেশের প্রথম ৬ লেনের এ সেতুর কাজ ৮৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ৬৯০ মিটার দীর্ঘ ও ২৭ দশমিক ১ মিটার প্রস্থের এ সেতুকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে ১৫০ মিটার স্টিলের নেলসন লসি আর্চ। সেতুর সংযোগ সড়কের কাজও শেষ। এতে স্প্যান রয়েছে ১৩টি ও গার্ডার ১৬০টি। এর মধ্যে বাকি ৮টি গার্ডার ইরাকসান এবং ৪টি স্প্যানের ডেক্সস্লাবের কাজ। এ সেতু চালু হলে কমবে দূরত্ব, সাশ্রয় হবে জ্বালানির।
নড়াইল জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পদ্মার এ পারে যতগুলো জেলা আছে, কালনা সেতু এবং পদ্মা সেতু চালু হলে সবচেয়ে যে সুযোগ-সুবিধা আসবে তার মধ্যে নড়াইল জেলা অন্যতম। নড়াইলের ওপর দিয়েই প্রত্যেক দিন বিপুলসংখ্যক গাড়ি চলাচল করবে।
আসছে জুলাই মাসেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানান কালনা সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুজ্জমান।
তিনি বলেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যেন আমরা কালনা সেতু চালু করতে পারি। যাতে ঢাকার সঙ্গে আমাদের যশোর, নড়াইল থেকে শুরু করে কোলকাতা বা ভারতের সঙ্গে আমাদের সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এশিয়ান হাইওয়ে যে আমাদের এই কালনা নদীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন ছিল এর মাধ্যমে যাতে সেই বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকার অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে কালনা সেতু।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।