জুমবাংলা ডেস্ক : গভীর সাগরে মৎস্য আহরণকারী প্রতিটি ট্রলার ১ থেকে ৬ হাজার ইলিশ নিয়ে ভিড়ছে কক্সবাজারে। যে কারণে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বেশি থাকায় আকারভেদে ৩০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে প্রতি কেজি ইলিশের দাম।
সাগরে জাল ফেললেই ধরা পড়ছে ইলিশ। কক্সবাজার মৎস্য ঘাটের পন্টুনে ইলিশসহ নানান প্রজাতির সামুদ্রিক মাছে ভরপুর। ঝুড়ি থেকে মাছ ফেলতেই পাইকাররা কিনে নিচ্ছেন। প্রায় তিন মাস পর ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে জেলে ও ট্রলার মালিকরা উৎফুল্ল। পাশেই প্যাকেজিং করে ট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে দেশের নানান প্রান্তে পাঠানোর জন্য।
গতকাল সাগরে মাছ শিকার শেষে বাঁকখালী নদীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ভিড়েছে এফবি আল্লাহ দান-২। ট্রলার থেকে বের করা হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন ১ কেজির বেশি। জেলেরা জানিয়েছে, ৮ দিন সাগরে মাছ শিকার করে ৬ হাজার ইলিশ ধরা পড়েছে; যা বিক্রির জন্য ফিশারি ঘাটে এসেছে। এই ট্রলারে ধরা পড়েছে প্রায় ৬ হাজার ইলিশ।
মাঝি রমজান আলী বলেন, সাগরে ৮দিন মাছ শিকার করেছি। প্রতিদিনই জাল ফেলতেই ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। আর ৯ দিনের মাথায় এসব ইলিশ বিক্রি করার জন্য কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে এসেছি।
ঘাটে দায়িত্বরত আবদুর রহিম বলেন, শনিবার সকালে কমপক্ষে শতাধিক ইলিশ ভর্তি ট্রলার ঘাটে ভিড়েছে। প্রতিটি ট্রলারে ১ থেকে ৬ হাজার ইলিশ নিয়ে এসেছে। ঘাটে ইলিশ বিক্রি করে পুনরায় ট্রলারে বরফ, খাদ্য ও তেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সাগরে ইলিশ শিকারে চলে যাচ্ছে।
জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ বদরুদ্দৌজা বলেন, সরকারি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে আরও ১ মাস জেলেরা মাছ শিকার না করে বসে থাকতে হয়েছে। যে কারণে জেলেদের পরিবারগুলো কষ্টে দিন কাটিয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।