স্পোর্টস ডেস্ক : রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরলে পরিবারের যে কোনো একজন সদস্যকে হারাতে হবে বলে যে হুমকি আনহেল দি মারিয়াকে দেওয়া হয়েছিল, তার সাথে জড়িত তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ এবং তদন্ত ও অপরাধীদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পিডিআই।
বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকার হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো বলে জানিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে আকোত্তোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে। পাবলো আকোত্তো হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে জোরদার ভূমিকা পালন করেন সান্তা ফে প্রদেশের দুই সরকারি কৌঁসুলি হাভিয়ের আরজুবি ও পাবলো সোক্কা।
চলতি মৌসুম শেষে আনহেল দি মারিয়া স্বদেশি ক্লাব রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। এর মাঝেই দি মারিয়াকে না ফিরতে বার্তা পাঠায় সন্ত্রাসীরা।
হুমকিবার্তাটি প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার নিউজ পোর্টাল ইনফোবে, ‘তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। যদি ফেরে, তোমাদের পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে আমরা খুন করব। পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যাই না, আমরা বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।’
ওই অঞ্চলে নিরাপত্তারক্ষিরা জানিয়েছেন, কালো ব্যাগটি ফেলে গাড়িটি দ্রুতবেগে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চারবার গুলির আওয়াজ তাঁরা শুনেছেন। ধূসর রঙের রেনাল্ট মডেলের সেই গাড়ি পরে সান্তা ফে পুলিশ রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
রোজারিও সেন্ত্রালের হয়েই ২০০৫ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন দি মারিয়া। সেখান থেকে পাড়ি জমান ইউরোপে। বেনফিকা থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, ইউভেন্তুস হয়ে গত জুলাইয়ে ফেরেন বেনফিকায়। পর্তুগিজ ক্লাবটির সঙ্গে ৩৬ বছর বয়সী তারকার চুক্তি আছে আগামী জুন পর্যন্ত। এরপর তিনি রোজারিও সেন্ত্রালে ফিরতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে।
টিওয়াইসি স্পোর্টস জানায়, গত ২৫ মার্চ সোমবার রাত আড়াইটায় অপরাধীরা গাড়িতে করে ফুনেস হিলস মিরাফ্লোরেস কান্ট্রি হাউসের সামনে হুমকিবার্তা ফেলে রেখে যায়। দি মারিয়া আর্জেন্টিনায় ফিরলে এই বাড়িতেই থাকেন।
রোজারিওতে মাদক কারবারিদের সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে গত সপ্তাহে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দি মারিয়া। ইএসপিএনকে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বলেছিলেন, বিষয়টি ভবিষ্যতে তার রোজারিও সেন্ত্রালে ফেরার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করতে পারে। এর পরই পান হত্যার হুমকি।
আর্জেন্টিনার সব শহরের মধ্যে রোজারিওতে খুনের হার সবচেয়ে বেশি। সেখানে মৃত্যুর হুমকি সাধারণ ব্যাপার। গত বছর হুমকি দেওয়া হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। মোটরসাইকেলে আসা দুজন ব্যক্তি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুস্সোর পরিবারের মালিকানাধীন একটি সুপারমার্কেটে এসে গুলি ছোড়ে এবং একটি চিরকুট রেখে যায় দোকানের দরজায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।