আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্পত্তি বলতে দুই একর জমি। দুই ভাই মিলে চাষ করে রুজিরুটি জোগান। যখন ফসল ফলে না, তখন ট্রাক চালিয়েই টাকা উপার্জন করেন। তবে চাষের জমিতেই যে অমূল্য রত্ন লুকিয়ে ছিল, তা এতদিন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। রাতারাতিই বদলাল ভাগ্য। আগেরদিন যার পকেটে ২০ টাকাও ছিল না, আজ সে লাখ লাখ টাকার মালিক। কীভাবে সম্ভব হল?
অন্ধ্র প্রদেশের কুর্নুল জেলার জোন্নাগিরির বাসিন্দা বয়া রামাজানেইলু। পেশায় কৃষক তিনি। দুই একর জমিতেই দুই ভাই মিলে চাষ করেন। তবে শুক্রবার ক্ষেতে যেতেই যা হল, তা কল্পনাও করতে পারেননি। মাঠে লাঙল দিতেই আটকে ছিল এক বড় পাথর। কাদামাটি মাখা ওই পাথর দেখেই মনে কেমন সন্দেহ জেগেছিল ওই কৃষকের। জল দিয়ে ধুয়ে তাই এলাকার এক স্বর্ণ-হিরে ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর তো দেখে চক্ষু চড়কগাছ। ওটা তো পাথর নয়, বহুমূল্য হিরে। সঙ্গে সঙ্গেই নগদ ১২ লক্ষ টাকা এবং ৫ তোলা সোনা দিলেন।
রাতারাতি লাখপতি হয়ে তো খুশিতে পা পড়ছে না কৃষকের। এত টাকা, সোনা নিয়ে কী করবেন, বুঝে পাচ্ছেন না। তবে চাষের জমি বিক্রি করবেন না বলেই জানিয়েছেন। পুলিশ এই বিষয়ে কিছুই জানে না বলেই জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত ৪২টি হিরে মিলেছে বিভিন্ন চাষের জমি থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।