বিনোদন ডেস্ক : দিদি নাম্বার ওয়ান, এই মুহূর্তে বাংলার সবথেকে পুরনো রিয়েলিটি শো। জি বাংলার এই জনপ্রিয় গেম শো প্রায় দশ বছরের বেশি সময় ধরে সগর্বে চলছে। টলিউড অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সঞ্চালনায় একের পর এক সিজনের মাইলস্টোন পেরিয়ে ফেলেছে দিদি নাম্বার ওয়ান। বলতে গেলে রচনাই শোয়ের প্রধান ইউএসপি। তবে হঠাৎ করেই সব উলটপালট হয়ে গেল সেটে।
দর্শকরা কার্যত দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা ব্যানার্জীকে ছাড়া ভাবতেও পারেন না। বছরের পর বছর ধরে এই রিয়েলিটি শো এর সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রচনা ব্যানার্জী। রচনার সঞ্চালনায় শোয়ের টিআরপি থাকে তুঙ্গে। প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা এবং রবিবার রাত সাড়ে আটটার সময় দর্শকদের ভিড় কার্যত টিআরপি তালিকা দেখেই বোঝা যায়। তবুও হঠাৎ করে কেন বদলে দেওয়া হল রচনাকে?
সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের সেলিব্রিটি স্পেশাল এপিসোডে ঘটেছে এই ঘটনা। সেখানে রচনাকে সরিয়ে তার জায়গা নিতে দেখা গেল অভিনেত্রীর প্রীতি বিশ্বাসকে। ধূলোকনা, বালি ঝড় এবং আরও অন্যান্য জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল খ্যাত অভিনেত্রী প্রীতি দর্শকদের কাছে খুবই পরিচিত মুখ। তবে তাকে রচনার জায়গাতে দেখে দর্শকরা বেশ চমকেই উঠেছিলেন।
তবে রচনার ভক্তদের আসলে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ প্রীতি রচনাকে রিপ্লেস করার জন্য আসেননি। তিনি শুধু কিছুক্ষণের জন্য দিদির পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে খেলার নাটক করছিলেন। জি বাংলার তরফ থেকে দিদি নাম্বার ওয়ানের যে ছোট্ট ভিডিও ক্লিপিংস শেয়ার করা হয়েছিল তাতে দেখা যাচ্ছে রচনা দাঁড়িয়েছেন প্রীতির জায়গাতে, আর প্রীতি রচনার পোডিয়াম দখল করেছেন।
দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলার নিয়ম হল প্রতিযোগীদের আগে প্রশ্ন করা হয়। তারপর রচনা ‘এবার বলো’ বললে বাজার প্রেস করে উত্তর দিতে হয়। এমনটা করতে গিয়ে অনেক সময় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান প্রতিযোগীরা। তাই যদি উল্টোটা ঘটে অর্থাৎ রচনাকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয় তাহলে তিনি কি পারবেন উত্তর দিতে? রচনার নকল করে তেমনটাই দেখাতে চাইছিলেন প্রীতি।
এদিন খেলার মাঝে অভিনেত্রীদের মধ্যে এমন মজার ঘটনাটি ঘটে। ‘এবার’ বলে প্রীতি কখনও ফোন দেখছিলেন, কখনও বা নিজের হাত দেখছিলেন। রচনা তখন প্রীতিকে বলেন, “আমি কিন্তু এভাবে ফোন দেখি না”। তবে ‘বলো’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই রচনার আগে বাজার প্রেস করে দেন অদ্রিজা। এবার হেসে গড়িয়ে পড়েন বাকিরা। এই ভিডিওর কমেন্ট বক্সেও হাসির ইমোজিতে ভরিয়ে দিচ্ছেন দর্শকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।