জুমবাংলা ডেস্ক : খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার বিষয়টিকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। রোববার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সম্মেলন এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
গেলো চার মার্চ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বরই দিয়ে ইফতার করেন না কেন? আঙ্গুর লাগবে কেন, আপেল লাগবে কেন? আমাদের দেশে আর কিছু নাই? পেয়ারা দেন না, প্লেটটা ওইভাবে সাজান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন যে, ইফতার পার্টি দরকার নেই। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’।
এ নিয়ে রোববার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টির ভিন্ন ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমি আগেও বলেছি, মিসইন্টারপ্রেট করা হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। আমি বিস্তারিত বলেছি… এবং অনেকের অনেক জায়গায় জ্বালা আছে। সে জ্বালা থেকে তারা হয়তো ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে। ওই কষ্ট তো আমরা লাঘব করতে পারব না’।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণই বিচার করবে, আমরা কোনো উত্তর দিতে চাচ্ছি না। তারা পাগল হয়ে গেছে। আমি খেজুরের পরিবর্তে বলিনি- মাইন্ড ইট; আমি বলেছি খেজুরের সঙ্গে, খেজুরের সাথে…. ইফতারের প্লেটটা আমাদের দেশীয় ফল দিয়ে সাজান’।
শিল্পমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এর পরদিন ক্ষোভ ঝাড়েন জাসদের সভাপতি হাসানুল ইনু। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিল্পমন্ত্রী বলেন, হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক। ইনু এ ধরনের কথা বলতে পারেন- তা তিনি বিশ্বাস করেন না।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। আরও যোগ করেন, ‘হি ইজ ভেরি ক্লোজ টু মি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সে। কিন্তু অন্য যারা করেছে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য, সরকারকে বিব্রত করার জন্য এটা করা হয়ে থাকতে পারে’।
এদিকে শিল্পমন্ত্রী কথায় কথায় বরই খাওয়ার কথা বলে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
একই দিনে তেজগাঁওয়ের সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছন, ‘বরই, খেজুর বিতর্ক সাংবাদিকদের তৈরি। কোনো মহল নিজেদের স্বার্থে এসব করছে। আমি বলেছি, ইফতারের থালায় দেশি ফল রাখুন। খেজুর নিয়ে কিছু বলিনি’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।