স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১০ সালে ডিয়েগো গোদিন যোগ দিয়েছিলেন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদে। রিয়াল ও বার্সেলোনার দ্যুতিতে ঢাকা পড়া অ্যাতলেতিকোয় নতুন জোয়ার এর পর থেকেই। তিনি যেমন ছিলেন রক্ষণের দেয়াল, তেমনি আদর্শ অধিনায়কও। তাঁকে কেন্দ্র করেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন কোচ ডিয়েগো সিমিওনে।
সাফল্যও মেলে তাতে। উরুগুয়ের ‘যোদ্ধা’ খ্যাত গোদিনের নেতৃত্বে দুটি ইউরোপা, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, একটি লা লিগা জেতার পাশাপাশি দুইবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে খেলে অ্যাতলেতিকো। এই সময়ে লুই সুয়ারেস, এদিনসন কাভানিদের নিয়ে গোদিনদের সোনালি প্রজন্মের উরুগুয়ে জিতেছে ২০১১ কোপা আমেরিকা। বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলেছে ২০১০ সালে আর ২০১৮ সালে পৌঁছেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।
৩৭ বছর বয়সে এই ‘যোদ্ধা’ নিলেন থামার সিদ্ধান্ত। অবসর নিলেন পেশাদার ফুটবল থেকে। পরশু শেষ ম্যাচ তিনি খেললেন আর্জেন্টাইন ক্লাব ভেলেস সার্সফিল্ডের হয়ে। হুরাকানের কাছে ১-০ গোলে হারের পর অবসরের ঘোষণা দিলেন গোদিন, ‘এভাবেই অবসর নিতে চেয়েছিলাম।
সুস্থ থেকে বিদায় বলতে চেয়েছি ফুটবলকে। অনেকে বিস্মিত হতে পারে, তবে কথাটা ভাবছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে।’
কিছুদিন আগে মেয়ের বাবা হয়েছেন গোদিন। মেয়ের মিষ্টিমুখ না দেখে বিদেশবিভুঁইয়ে থাকতে ভালো লাগছিল না আর। তাই ২০ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান এখন থেকে, ‘দুটি ব্যাপার নিয়ে ভাবছি।
একটা হলো আমার পরিবার থাকে উরুগুয়েতে, আরেকটা আমি বাবা হয়েছি সম্প্রতি। এখন বিশ্রাম নিতে চাই আর জীবনের অন্য দিকগুলো উপভোগ করতে চাই।’
স্মার্ট প্রজন্মের ফোল্ড-ফ্লিপ ফোন Galaxy Z Flip 5 চোখ ধাঁধানো সব ফিচার
২০০৩ সালে উরুগুয়ের ক্লাব সেরোর হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা গোদিন ইউরোপে খেলেছেন ভিয়ারিয়াল, অ্যাতলেতিকো আর ইন্টার মিলানে। সেরা সময়টা কাটিয়েছেন ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অ্যাতলেতিকোয়। সব মিলিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারে ৬২৭ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩৮টি আর ট্রফি জিতেছেন ১০টি। উরুগুয়ের জার্সিতে গোদিন খেলেছেন রেকর্ড ১৬১ ম্যাচ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।