জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের আর্থিক খাতে সঞ্চয় সংক্রান্ত এক বড় পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক তাদের সাধারণ হিসাব পরিচালনা পদ্ধতিতে ঐতিহাসিক রূপান্তর ঘটাতে যাচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ একটি আদেশ জারি করে জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে আর কোনো ম্যানুয়াল হিসাব খোলা যাবে না।
ডিজিটাল হবে সব সঞ্চয় হিসাব
বর্তমানে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সাধারণ ও মেয়াদি হিসাব পরিচালিত হয় দুই পদ্ধতিতে—ম্যানুয়াল ও অনলাইন। তবে জুলাই ২০২৫ থেকে নতুন কোনো সাধারণ হিসাব কেবলমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমেই খোলা যাবে। চলমান ম্যানুয়াল হিসাবগুলো ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ডিজিটাল না করলে সেই হিসাব বন্ধ হয়ে যাবে এবং সেগুলোর উপর আর কোনো মুনাফা প্রযোজ্য হবে না।
Table of Contents
কারণ ও প্রভাব: ডিজিটাল ট্র্যাকিং সুবিধা
সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন অফিস থেকে সীমার অতিরিক্ত পরিমাণে বিনিয়োগ করলেও তা নির্ধারণ করা কঠিন ছিল। ডিজিটাল পদ্ধতিতে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে এসব অনিয়ম প্রতিরোধ করা যাবে এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে।
সঞ্চয় বিনিয়োগে অবনতি: এক নজরে পরিসংখ্যান
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে সাধারণ হিসাবে নতুন করে জমা পড়েছে মাত্র ২৮৫ কোটি টাকা, বিপরীতে ভাঙানো হয়েছে ২ হাজার ২১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগ কমেছে ১ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। মেয়াদি হিসাবেও একই চিত্র—২ হাজার ১৮১ কোটি টাকা জমা পড়লেও ৯ হাজার ৯৭ কোটি টাকা ভাঙানো হয়েছে, ফলে নিট বিনিয়োগ কমেছে ৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।
সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থায় ইতোমধ্যেই অনলাইন রূপান্তর
ডাকঘরের বাইরেও বর্তমানে পেনশনার, পরিবার ও পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র রয়েছে, যেগুলোর সব লেনদেন ইতোমধ্যেই অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এতে করে মিথ্যা ঘোষণা বা সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ অনেকাংশে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
জনগণের জন্য বার্তা
যাদের এখনো ম্যানুয়াল হিসাব রয়েছে, তাদের ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে সেটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করতে হবে। অন্যথায়, সেই হিসাব বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোনো মুনাফা প্রযোজ্য হবে না।
১. কবে থেকে ম্যানুয়াল হিসাব খোলা যাবে না?
২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে নতুন কোনো ম্যানুয়াল হিসাব খোলা যাবে না।
২. পুরনো ম্যানুয়াল হিসাব কতদিনের মধ্যে ডিজিটাল করতে হবে?
২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ডিজিটাল না করলে হিসাব বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর না করলে কী হবে?
সেই হিসাব থেকে আর কোনো মুনাফা পাওয়া যাবে না এবং পরবর্তীতে সেটি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।
৪. কেমন পরিমাণে বিনিয়োগ করা যায় সাধারণ ও মেয়াদি হিসাবে?
একক নামে ১০ লাখ এবং যৌথ নামে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়।
৫. সঞ্চয়পত্র কি এখন অনলাইনে কেনা যায়?
হ্যাঁ, সঞ্চয়পত্র অনলাইনে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেনা ও বিক্রি করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।