জুমবাংলা ডেস্ক : ইলেকট্রনিক লেনদেনে (ই-লেনদেন) সাইবার ঝুঁকি মোকাবেলা করবে ডিজিটাল স্বাক্ষর। নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রয়োজন। এটি ইলেকট্রনিক রেকর্ডের আইনানুগ স্বীকৃতি দেবে এবং ইমেইল যোগাযোগ নিরাপদ, জালিয়াতি রোধ ও দুর্নীতি দমন করবে। ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে সাইবার হামলা, ই-লেনদেন ইত্যাদি ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বৃহস্পতিবার কন্ট্রোলার অফ সার্টিফাইং অথরিটিজের (সিসিএ) কার্যালয়ের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিকেআই ড্রিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলনের কক্ষে অনুষ্ঠিত এই ড্রিলে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, কন্ট্রোলার অফ সার্টিফাইং অথরিটিজের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রক এ. টি. এম জিয়াউল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, আইন ও প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করছি। সরকার প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিক্রমায় দেশে ই-কমার্সসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে পরিচালিত সেবায় ব্যক্তির পরিচিতি ও তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি প্রশমন ও সাইবার জালিয়াতি পপ্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ টি এম জিয়াউল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে জানান, ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের জনগণের অনলাইন তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই পিকেআই ড্রিলের উদ্দেশ্য। পিকেআই ড্রিল আয়োজনকে বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর/ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রসারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় ডিজিটাল/ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর ব্যবহার করে তথ্যের অবিকৃত আদান-প্রদান, তথ্য প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর পরিচিতি প্রতিপাদন, তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাইবার জালিয়াতি ও সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রেরিত ও সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ই-সেবা, ই-কমার্স, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-চুক্তি, অনলাইনে প্রদত্ত লাইসেন্স/সনদপত্র/প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদির অথেন্টিকেশন নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-হেলথ, ই-ইনফ্রাস্ট্রাকচার-সহ ই-সার্ভিসসমূহের নিরাপত্তা বিধান এবং সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল স্বাক্ষরের ভূমিকা অপরিসীম।
পিকেআই ড্রিলে বক্তার বলেন, পেপারলেস অফিস সিস্টেম চালু করার মাধ্যমে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি পরিষেবার তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে ডিজিটাল স্বাক্ষরকে অত্যাবশ্যকীয় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ডিজিটাল স্বাক্ষরের ব্যবহারের জন্য পিকেআই সিস্টেম হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত একটি প্রযুক্তি।
পিকেআই ড্রিলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দপ্তর-সংস্থার প্রধানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, সিসিএ কার্যালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সার্টিফাইং অথরিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকার ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।