লাইফস্টাইল ডেস্ক : ‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’ স্লোগান নিয়ে আজ (১১ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে ডিম দিবস। ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ডিম দিবস।
১। ডিমে কোন কোন পুষ্টি উপাদান মিলবে?
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পুষ্টিই থাকে ডিমে। প্রোটিনের পাশাপাশি ডিমে পাওয়া যায় শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড।পেশী মেরামত এবং বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এসব অ্যামিনো অ্যাসিড। একটি ডিম থেকে মেলে ৭৫ ক্যালোরি, ৭ গ্রাম শক্তিশালী প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাটসহ আয়রন, ভিটামিন ও মিনারেল। ক্ষতিকর জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে এমন বেশ কিছু উপাদান রয়েছে ডিমে। দেহের প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ডিমের তুলনা নেই। এছাড়াও ডিমে রয়েছে শর্করা, স্নেহ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ।
২। দিনে কয়টি ডিম খাওয়া নিরাপদ?
ডিম আমাদের সুস্থতার জন্য ভীষণ জরুরি সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। যেমন দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত এই নিয়ে অনেকেই দ্বিধান্বিত থাকেন। ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানান, একজন দিনে কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করছেন সেটার উপর ডিম খাওয়ার চাহিদা নির্ভর করে অনেকটাই। যারা প্রতিদিন শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাদের কখনোই দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। টিনএজারদের পুষ্টি ও খাবারের চাহিদা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে চাইলে বাড়তি ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে রোজ কয়টি করে ডিম খাবেন তা নির্ভর করে টিনএজারদের ওজন কতো ও শারীরিক জটিলতা আছে নাকি তার ওপর। যদি ওজন অনেক কম হয় তাহলে দিনে ২ থেকে ৩টি ডিম তারা দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখতে পারে।
৩। ডিম খেলে কি কোলেস্টেরল বাড়ে?
ডিমের কুসুম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়- এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। তবে পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানালেন, গবেষণায় এই তথ্য পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি ১২ এবং কে। পাশাপাশি থাকে নানা ধরনের মিনারেল, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ডিমে ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তবে এই কোলেস্টেরলের সবটা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল না। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মূলত আসে চিনি থেকে। মিষ্টি কোনও খাবার এক্ষেত্রে না খাওয়াই ভালো। ডিমের কুসুমে উপস্থিত ফ্যাট উল্টো সেই কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডিম কুসুমসহ খেতে বাধা নেই।
‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে বড় পরিবর্তন, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় বাড়ছে
৪। ডিম কীভাবে খাওয়া স্বাস্থ্যকর?
তেলে ভাজা কিংবা পোঁচের চেয়ে সেদ্ধ ডিম খাওয়াটাই বেশি স্বাস্থ্যকর- জানান নাহিদা আহমেদ। কারণ সেদ্ধ ডিমে অতিরিক্ত চর্বি বা উপাদান থাকে না। সেদ্ধ ডিমে অমলেটের চেয়ে বেশি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ থাকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন বলছে, একটি বড় সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালোরি থাকে। এই ক্যালোরি প্রোটিন, চর্বি এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজগুলোর মধ্যে ভারসাম্য প্রদান করে। সেদ্ধ করা ডিমে বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান অক্ষত থাকে। সেদ্ধ ডিম ভিটামিন বি ১২, ডি এবং রিবোফ্লাভিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। এসব উপাদান শক্তি জোগায় ও হাড় ভালো রাখে। এছাড়া সেদ্ধ ডিমে কোলিন থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। স্ন্যাকস টাইমে সেদ্ধ ডিমের উপর গোলমরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে যেমন পেট ভরবে, তেমনি শরীর পাবে পুষ্টি। বাড়তি ওজন কমাতে চাইলে ডিমের সঙ্গে শাকসবজি খেতে পারেন। এতে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।