জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের মাঠজুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানা জাতের আমের বাগান। শীত শেষে বসন্ত এলেই এসব গাছের ডালগুলো ভরে যায় আমের মুকুলে। বর্তমানে এসব গাছে দেখা দিতে শুরু করেছে গুটি গুটি আম। বাগাম মালিক ও শ্রমিকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করতে শুরু করেছেন গাছের পরিচর্যায়।
জেলার হাকিমপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ঘুরে দেখা যায়, ফাল্গুনের শুরু থেকে পরিবর্তন শুরু হয়েছে প্রকৃতির। গাছের পুরনো পাতা ঝরে বের হচ্ছে নতুন পাতা। আর সেই পাতার ফাঁকে বেরিয়ে আসছে আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের মুকুল।
চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হচ্ছে। আম চাষিদের যাতে আমের ফলন ভালো হয় সেজন্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে তাদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আম চাষিরা ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছে জেলা কৃষি অধিদপ্তর।
হাকিমপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেয়ার আলীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে একটা ফজলি ও একটি ন্যাংড়া আমের গাছ আছে। গাছ দুটির বয়স প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর হবে। প্রতিবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ আম ধরে। এবারও গাছ দুটিতে প্রচুর আমের গুটি ধরেছে। আল্লাহ দিলে যদি ঝড়-বৃষ্টি না হয় তাহলে অনেক আম পাবো।’
ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগীহাটের আশরাফ আলী বলেন, ‘আমি দেড় বিঘা জমির ওপর একটা আম বাগান করেছি। বাগানে ফজলি, হিমসাগর, ন্যাংড়া, নাগ ফজলিসহ কয়েক জাতের আমের গাছ রয়েছে। বাগানের বয়স ৫ বছর, প্রতিটি গাছ কলম করা, তাই ছোট থেকে গাছে আম ধরেছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবারও আমের বাম্পার ফলন পাবো।’
হাকিমপুর উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোছা. আরজেনা বেগম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে এবার উপজেলার ৪৭ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। বাগানের সংখ্যা ১৪৫টি। এছাড়াও উপজেলার প্রায় বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে আমের গাছ রয়েছে। প্রায় গাছে আমের মুকুল থেকে গুটি এসেছে। আমরা আম বাগান চাষিসহ বসতবাড়িতে থাকা গাছ মালিকদের সেবা দিয়ে আসছি। এছাড়াও গাছের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া শুরু হয়েছে।’
দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো, নুরুজ্জামান বলেন, ‘জেলায় ৫ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হচ্ছে। বাগানিরা যাতে আমের ভালো ফলন পান তার জন্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আম চাষিরা ভালো ফলন পাবেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।