লাইফস্টাইল ডেস্ক : পৃথিবীতে না জানি কত ধরনের প্রাণী রয়েছে। এমন একটা সময় ছিল যখন বিশালাকার ডাইনোসরের মত প্রাণীও পৃথিবীতে বসবাস করত। এমন অনেক জীব আছে যাদের উপর আমরা কোন না কোন ভাবে নির্ভরশীল। এরকমই একটি প্রাণী হল নীল রক্তযুক্ত কাঁকড়া (হর্সশু কাঁকড়া)। তবে এটির প্রজাতিগত দিক দিয়ে মাকড়সার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে।
এরা ডাইনোসরের চেয়েও বেশি পুরাতন। কমপক্ষে তারা ৪৫০ মিলিয়ন বছর ধরে এই গ্রহে বসবাস করছে। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে আমেরিকার মেক্সিকো উপসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝাঁক বেঁধে অবস্থান করে এই কাঁকড়ার দল। হর্সশু কাঁকড়া এখনো পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সাল থেকে চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং ভ্যাকসিনে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিত পরীক্ষায় করতে এই প্রাণীর রক্ত ব্যবহার করছে। এই রক্তের অসাধারণ ক্ষমতা বলে যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে এদের গুরুত্ব অপরিসীম।
বায়োমেডিক্যাল ব্যবহারের জন্য প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন হর্সশু কাঁকড়া ধরা হয়। হর্সশু কাঁকড়ার এক লিটার রক্তের দাম ১১ লক্ষ টাকা। এর রক্ত নীল রঙের। আসলে এর রক্তে তামা থাকে, যে কারণে রক্তের রং নীল। এছাড়াও একটি বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, যা অত্যন্ত অপরিহার্য।
এই কাঁকড়ার হৃদপিন্ডের কাছে সামান্য ছিদ্র করে ৩০% রক্ত বের করা হয়। এই প্রক্রিয়ার পর কাঁকড়াগুলোকে তাদের জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার কারণে ৩০% কাঁকড়া মারাও যায়, ফলে স্ত্রী কাঁকড়ারা প্রজননের সমস্যার মুখোমুখি হয়। বর্তমানে বিশ্বে চার প্রজাতির হর্সশু কাঁকড়া অবশিষ্ট রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।