বিনোদন ডেস্ক : সম্প্রতি ‘পাঠান’ ছবির ‘বেশরম রঙ’ গান প্রকাশিত হয়েছে। গানটি মুক্তির পরপরই ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। একদিকে গানটি যেমন প্রশংসা পেয়েছে, অন্যদিকে গানটিকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে তুমুল বিতর্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ব্যঙ্গ করা হচ্ছে শাহরুখ-দীপিকাকে।
পাঠান সিনেমায় অনেক আবেদনময়ী হয়ে পর্দায় হাজির হয়েছেন দীপিকা। কেউ কেউ মনে করেন গানটি একদম সস্তা টাইপের হয়েছে। কারো মতে, শাহরুখের সিনেমায় এমন গান প্রত্যাশা করেন না ভক্তরা। আবার কেউ কেউ গানে ‘গেরুয়া’ রঙ ব্যবহারের বিরোধিতা করেছেন। অনেকে আবার দীপিকার বিকিনি লুকের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
গানটি প্রকাশের পর থেকেই দীপিকা পাড়ুকোনের পোশাক নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। ইতিমধ্যে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা পাঠান সিনেমাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তবে এমন বিতর্কের মাঝে দীপিকা ও পাঠান সিনেমার পাশে দাঁড়িয়েছেন দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজ।
পোশাক নিয়ে বিতর্কের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, গেরুয়া পরিহিত পুরুষরা ধর্ষকদের মালা পরিয়ে দিতে পারেন। হিংসা, ঘৃণা বক্তব্য ছড়াতে পারেন। গেরুয়া পরিহিত স্বামীজি নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে পারেন। কিন্তু ছবিতে গেরুয়া পরলেই দোষ?
শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ছবির ‘বেশরম রঙ’ গান মুক্তি পাওয়ার পর কেটে গেছে বেশ কয়েকদিন। তবে এখনো জিইয়ে রয়েছে আন্দোলনের আঁচ। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বলিউড কিং খানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে হিন্দুত্ববাদীরা। ছবি বয়কটের দাবিও জানান তারা।
‘পাঠান’ ছবির গান ও বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তোলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, পাঠান ছবির বেশ কিছু দৃশ্য অশোভন। এই দৃশ্যগুলো বাতিল না করলে মধ্যপ্রদেশে এই ছবিকে মুক্তি দেওয়া যাবে না। তার কথায়, পাঠান ছবির এই গান ও দৃশ্য পরিচালকের নোংরা মানিসকতার পরিচয়। এর তীব্র বিরোধিতা করছি।
তবে বৃহস্পতিবার ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শাহরুখের বক্তব্যে উঠে এল সেই সিনেমা বয়কটের প্রসঙ্গ।
বলিউডে এমনিই মন্দার বাজার। তার উপর প্রত্যেক ছবির ট্রেলার বা টিজার মুক্তি পেলেই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্যের ঢল নামে। তারই জেরে তিল থেকে তাল হয়ে ছবি বয়কটের ডাকও উঠে যায় নিমেষে। এতে যে আখেরে সিনেমারই ক্ষতি, সে কথাই জানালেন শাহরুখ খান।
তিনি বলেন, অনেক সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া নানা বক্তব্যে নিম্নমানের মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়, যা কিনা সিনেমার ভাষাকে ব্যহত করে। সিনেমাকে নেগেটিভ হিসেবে প্রচার করে। সিনেমার উদ্দেশ্যকে ভুলভাবে প্রচার করে। তবে আমার বিশ্বাস, এই সমাজে সিনেমার গুরুত্ব রয়েছে। এটি মানুষের কাছে সহজভাবে পৌঁছে যাওয়ার অন্যতম এক মাধ্যম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।