জুমবাংলা ডেস্ক : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রেখে মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশে অংশ নেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রেখে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করা যাবে না। তবে সে এলাকায় বিকল্পব্যবস্থা না থাকলে স্কুল-কলেজ বন্ধের দিন সভা-সমাবেশ আয়োজন করা যাবে।
বুধবার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে দুঃখ প্রকাশ করে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের এ তথ্য জানান।
গত সোমবার রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় পাশাপাশি পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আয়োজন করা হয়েছিল থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তা শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আসে।
এ বিষয়ে দীপু মনি বলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গেছেন ঢাকার দক্ষিণখানে। সেখান থেকে চলে আসার পর তিনি জেনেছেন, তার আশপাশে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ মাঠ ব্যবহার করে একটি কমপ্লেক্সের মতো। সেখানে রাজনৈতিক সমাবেশটি হয়েছে। পরে খোঁজ নিলে তাকে বলা হয়, দুপুর দুটা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে, কিন্তু আসলে কতটা চলেছে, তা তিনি জানেন না। কিন্তু যখনই প্যান্ডেল করা হয়েছে, তখন শিক্ষা কার্যক্রম যদি চলেও থাকে তা হলে খুব নির্বিঘ্নে চলেছে, তা মনে করার কারণ নেই। সে জন্যই তিনি ভীষণভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত। কারণ তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।
দীপু মনি বলেন, আমাদের একটি নির্দেশনা আছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সম্পর্কিত অনুষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করার। কিন্তু বাইরের কোনো অনুষ্ঠান নিরুৎসাহিত করি। কোনো এলাকায় হয়তো বিকল্পই নেই। কিছুই করার থাকে না। তখন বলা হয়, যেন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। আমি আসলেই খুবই বিব্রত। আমার অজান্তেই ঘটনাটি ঘটেছে।’
তিনি আরও বলেন, আমি অনুরোধ জানাব এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করার ক্ষেত্রে সেখানকার দায়িত্বরতদের সঙ্গে আলোচনা করে বন্ধের দিন যেন আয়োজন করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।