বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সাম্প্রতিককালে মনে হয় প্রতিদিনই বিস্ময়কর বিজ্ঞানের গল্প উঠে আসছে, যার সবগুলোই আমাদেরকে অবাক করে। কিছুদিন আগে একটি ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক হোল আবিষ্কার হয়েছিল যা আমাদের দিকে নির্দেশ করে, তারপরে সূর্যের মধ্যে একটি বিশাল গর্ত পাওয়া যায় এবং ৩৭৫ বছর ধরে নিখোঁজ থাকার পরে একটি হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ খুঁজে পাওয়া যায়।
এবার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, পৃথিবীর ভূত্বকের নীচে একটি বিশাল সমুদ্র লুকিয়ে আছে। দেখা যাচ্ছে যে পৃষ্ঠ থেকে ৪০০ মাইল গভীরে পানির বিশাল সরবরাহ রয়েছে যা ‘রিংউডাইট’ নামে পরিচিত শিলায় সঞ্চিত রয়েছে। বিজ্ঞানীরা পূর্বে আবিষ্কার করেছিলেন যে, পানি একটি স্পঞ্জের মতো অবস্থায় ম্যান্টেল রকের ভিতরে জমা হয়, যা তরল, কঠিন বা গ্যাস নয়, বরং চতুর্থ অবস্থা।
২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ‘ডিহাইড্রেশন মেল্টিং অ্যাট দ্য টপ অব দ্য লোয়ার ম্যান্টেল’ শিরোনামের বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং ফলাফলগুলি তুলে ধরা হয়েছিল। ‘রিংউডাইট একটি স্পঞ্জের মতো, পানি ভিজিয়ে রাখে, রিংউডাইটের স্ফটিক কাঠামোর মধ্যে বিশেষ কিছু রয়েছে যা এটিকে হাইড্রোজেনকে আকর্ষণ করতে এবং পানি আটকাতে দেয়,’ সেখানে ভূ-পদার্থবিদ স্টিভ জ্যাকবসেন বলেছিলেন।
‘এ খনিজটি গভীর আবরণের পরিস্থিতিতে প্রচুর পানি ধারণ করতে পারে,’ জ্যাকবসেন যোগ করেছেন, যিনি আবিষ্কারক দলের অংশ ছিলেন। তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা অবশেষে পুরো পৃথিবীর পানিচক্রের প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি, যা আমাদের বাসযোগ্য গ্রহের পৃষ্ঠে তরল পানির বিশাল পরিমাণ ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করতে পারে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে এই অনুপস্থিত গভীর পানির সন্ধান করছেন।’
বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্প অধ্যয়ন করার পরে আবিষ্কার করেছিলেন যে সিসমোমিটারগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে শকওয়েভ বাছাই করছে। সেই থেকে, তারা এটি স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল যে রিংউডাইট নামে পরিচিত পাথরে পানি জমা হচ্ছে। যদি পাথরে মাত্র ১ শতাংশ পানিও থাকে তবে এর অর্থ হবে যে, পৃথিবীর পৃষ্ঠের নীচে সমুদ্রের পৃষ্ঠের তুলনায় তিনগুণ বেশি পানি রয়েছে। সূত্র: ইন্ডি১০০।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।