জুমবাংলা ডেস্ক : সুপারি গাছের পাতার পরিত্যক্ত খোল থেকে বানানো পরিবেশবান্ধব থালা, বাটি, ডিনার সেট, চামচ নিয়ে বসেছেন হিরক মহন্ত। পথচারীরা ব্যতিক্রমী এসব থালা, বাটি দেখছেন, দরদাম করছেন এবং কিনছেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবদাড়ু সড়কে দেখা মেলে হিরক মহন্তের। পথচারীদের সুপারি পাতার খোলের থালা বাটির বর্ণনা দিচ্ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব থালা বাটি ক্যামিকেলমুক্ত, পরিবেশবান্ধব। যে কেউ এসব থালা বাটি নিতে পারেন। এখানে থালা, বাটি, চামচ ও ডিনার সেট রয়েছে।
হিরক মহন্তের হাক ডাকে দর্শনার্থীরা এসে দেখতে ভিড় জমাচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেগুলো বাড়িতে কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
পরিবার নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিলেন আকবর হোসেন। নতুনত্ব দেখে তিনি সুপারি খোলের ডিনার সেট কিনে নেন। তিনি বলেন, ইউটিউবে সুপারির খোলের থালা বাটি দেখেছিলাম। আজ এখানে দেখে পছন্দ হলো তাই কিনে নিলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাবেদুল ইসলাম বলেন, সুপারি গাছের থালাগুলো ভালো কিন্তু দাম বেশি। দাম একটু কম হলে সবাই ব্যবহার করতে পারতো। ২০ টাকা দিয়ে শখ করে একটি থালা কিনেছি।
দামদরে না মিলায় থালা বাটি না কিনে ফিরে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার। তিনি বলেন এ প্লেট গুলো ২/১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। সে হিসেবে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম হলে ভালো হতো। একটাই ২০ টাকার কম দিচ্ছে না। তাই কিনিনি।
তবে ব্যবসায়ী হিরক মহন্ত বলেন, এসব থালা বাটি চট্টগ্রাম থেকে আনতে হয়। যাতায়াত ও পণ্যগুলোর দাম বেশি। তাই কম দামে বিক্রি করতে পারি না। প্রতিদিন অনেক মানুষ এগুলো দেখে। এর মধ্যে অনেকে আগ্রহ দেখায়। সামান্য লাভ রেখে এগুলো বিক্রি করে দিই।
তিনি আরও বলেন, রংপুর সুরভি উদ্যেনের আশেপাশে বেশি বিক্রি হয়। অনেক শৌখিন মানুষ কিনে নেয়। অনেকে আবার উপহার দেওয়ার জন্য এসব থালা বাটি কিনে নেয়। চাহিদা ভালো থাকায় বিক্রিও হয় ভালো। এছাড়া আমাদের দেশ থেকে নিয়মিত বিদেশেও এসব পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।