একটি ছবি। আর সেই ছবি ঘিরে যত সমস্যার সূত্রপাত। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের সেটে শট কাটলেই নাকি থমথমে পরিবেশ। সূত্রের দাবি এমনই। তাই জীতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের বাস্তব সমীকরণ নিয়ে ফিসফিসানির শেষ নেই। এরই মাঝে সমাজমাধ্যমের পাতায় বোমা ফাটালেন পর্দার অপর্ণা। ক্যামেরার সামনে অপর্ণা-আর্যর গভীর রসায়ন বাস্তবে যেন উলটপূরাণ। সেই আভাসই পাওয়া গেল অভিনেত্রীর লেখায়।
এই প্রেক্ষিতে আনন্দবাজার ডট কমের তরফে যোগাযোগ করা হয় দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে। তিনি বললেন, “নিজের পেশাগত জীবন আর ব্যক্তিগত জীবন মিশিয়ে ফেলতে আমি একেবারেই পছন্দ করি না। অভিনয় করার জন্য আমি পারিশ্রমিক পাই। কাজ করি বাড়ি আসি। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে যা শুরু হয়েছে আমার মা, পরিবারকে টেনে এনে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে। এটা আমি সহ্য করব না। আমি পর্যন্ত ঠিক ছিল। আমার মাকে নিয়ে কী সমস্যা! আমার একটি ছবি নিয়ে সমস্যা ছিল। আপত্তি জানিয়েছি। আমরা মেয়ে বলে কি সব সহ্য করতে হবে?”
ছোটবেলা থেকে এখনও পর্যন্ত শুটিংয়ে সব সময়ই দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে থাকেন ওঁর মা। কিন্তু সেটে অভিনেত্রীর মায়ের আসা নিয়েও নাকি সমস্যা তাঁর সহ-অভিনেতার। এমনই শুনেছেন নায়িকা। দিতিপ্রিয়া লিখেছেন, রাত-বিরেতে তাঁর সহ-অভিনেতার নানা ধরনের মেসেজে বিব্রত তিনি। প্রথমে সবই নিছক মজা মনে হয়েছিল। কিন্তু পরে তা তাঁকে অস্বস্তি দেয়। অভিনেত্রী লেখেন, “আমি এত দিন চুপ ছিলাম। কারণ এ সব নিয়ে গন্ডগোল করে কাজ নষ্ট করতে আমার পরিবার আমাকে শেখায়নি। আর চুপ থাকতে পারলাম না। কিছু মানুষ মুখ বুজে সহ্য করে গেলে, কিছু মানুষ সীমা ছাড়িয়ে যায়। আমি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি, আর করবও না। প্রতিদিনের এই কাটাছেঁড়া এখন খুব এক তরফা হয়ে যাচ্ছে।”
তাঁর এই লেখা যে পরোক্ষ ভাবে জীতুর জন্যই তা বুঝতে বাকি নেই কারও। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, “পরিবার আমায় শেখায়নি কারও নাম নিয়ে উক্তি করার। পড়াশোনা করে বড় হয়েছি এই কাদা ছোড়াছুড়ি করব বলে নয়। আমি না আছি কোনও প্রেমে, না আছি কোনও ঝামেলায়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।