বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে সম্পর্কের ভাঙাগড়া লেগেই থাকে। আজ কোনও নতুন সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। আবার আগামীকালই হয়তো শোনা যাচ্ছে সেই সম্পর্ক আর নেই। বি টাউনে বহু তারকার বিয়েও ভাঙতে দেখা গিয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই যেহেতু এখানে বলি তারকার বিয়ে ভাঙার কথা হচ্ছে, তাই সেই ডিভোর্সের খরচও প্রচুর।
অনেক সময় তো দেখা গিয়েছে, বলি তারকার স্ত্রীয়েরা খোরপোষ হিসেবে যে টাকা পেয়েছেন, তা দিয়ে সাধারণ মানুষ পাঁচ জন্ম বসে খেতে পারবে। আজ বলিপাড়ার এমনই ৬টি হাইপ্রোফাইল বিবাহ বিচ্ছেদের কথা একটু জেনে নেওয়া যাক।
ঋত্বিক রোশন এবং সুজান খান : বলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ডিভোর্স হল ঋত্বিক এবং সুজানের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিবাহ বিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্ত্রীকে ৩৮০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলিউডের ‘গ্রিক গড’।
সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং : সইফ এবং অমৃতা যখন সাত পাক ঘোরেন, তখন তা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। কারণ এই বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রের চেয়ে পাত্রীর বয়স ছিল বেশি। তবে সেই বিয়ে টিকেছিল মাত্র ১৩ বছর। এরপর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই দুই তারকা। শোনা যায়, ডিভোর্সের বদলে সইফের থেকে ৫ কোটি টাকা পেয়েছিলেন বলি সুন্দরী।
করিশ্মা কাপুর এবং সঞ্জয় কাপুর : এই তালিকায় নাম রয়েছেন রণধীর কাপুরের কন্যা করিশ্মা কাপুরেরও। ২০১৪ সালে স্বামী সঞ্জয় কাপুরকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শোনা যায়, ডিভোর্সের পর অভিনেত্রীকে একটি বাড়ি, ১৪ কোটির বন্ড দিয়েছিলেন সঞ্জয়। এছাড়াও সন্তানদের জন্য নায়িকাকে প্রত্যেক মাসে ১০ লাখ টাকা করে দেন তিনি।
আরবাজ খান এবং মালাইকা অরোরা : দেড় দশকেরও বেশি সংসার করার পর ২০১৭ সালে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন আরবাজ এবং মালাইকা। শোনা যায়, বিচ্ছেদের পর সলমনের ভাইয়ের থেকে ১০ কোটি টাকা ভরণপোষণ চেয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ফারহান আখতার এবং অধুনা আখতার : শিবানী ডান্ডেকরের সঙ্গে সাত পাক ঘোরার আগে অধুনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা, পরিচালক ফারহান আখতার। তবে সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। বিচ্ছেদের পর অধুনা এবং মেয়েদের একটি বাংলো দিয়েছিলেন অভিনেতা। এছাড়াও প্রত্যেক মাসে খোরপোষ হিসেবে একটি মোটা অঙ্কের টাকা দেন ফারহান।
নাগা চৈতন্য এবং সামান্থা রুথ প্রভু : দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির এই জনপ্রিয় জুটি বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছে বেশি সময় হয়নি। তাঁদের ডিভোর্সের পর শোনা গিয়েছিল, নাগার থেকে নাকি ২৫০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। যদিও পরে এই সকল দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সামান্থা। সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, নাগার থেকে এক পয়সাও নিতে চান না তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।