জুমবাংলা ডেস্ক : চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের পাইকারি কাঁচাবাজারের আদলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাইকারি কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (২২ মে) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বড় কাঁচাবাজার সিনফার্তি পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘বেইজিংয়ের হোলসেল মার্কেট থেকে কনসেপ্ট (ধারণা) নিয়ে ডিএনসিসির মার্কেট তৈরি করা হবে। এখানকার মার্কেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ডিজাইন শেয়ার করতে সম্মত হয়েছে। ডিএনসিসির হোলসেল মার্কেটে বেইজিংয়ের মডেল অনুসরণ করা হবে।’
আগে বেইজিংয়ের অনেক ব্যবসায়ী ফুটপাতে দোকান করতেন উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিনফার্তি মার্কেট বেইজিংয়ে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, সেটি অনুসরণ করে বেইজিংয়ের মতোই ডিএনসিসিতে হোলসেল মার্কেট করা সম্ভব হবে।’
সিনফার্তির মতো আধুনিক ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গাবতলীতে ডিএনসিসির পাইকারি মার্কেটে ছোট আকারের পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। কারণ, অনেক বিদ্যুতের দরকার আছে। মন্ত্রণালয়ে এরই মধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘সিনফার্তির মতো মার্কেটে হিমাগার দরকার, তাপমাত্রা কন্ট্রোল করা দরকার। এসব জায়গায় প্রক্রিয়াজাত করা খাবার রাখা দরকার। এগুলো তারা সঠিক ব্যবস্থাপনায় রেখেছে। তাজা খাবারের জন্য তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দরকার।’
এ সময় ঢাকায় দুটি পাইকারি মার্কেট করা হবে বলেও জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ঢাকায় দুটি পাইকারি মার্কেট হবে। একটি ঢাকা উত্তরে, অন্যটি ঢাকা দক্ষিণে। পাইকারি মার্কেট করার পর ঢাকার মধ্যে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে পারবে না। এটি করতে পারলে ঢাকা শহরের ট্রাফিক অনেক কমে যাবে।’
ঢাকা শহরকে সুন্দর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘কারওয়ানবাজারকে সরিয়ে গাবতলীতে যে ডিএনসিসি মার্কেট করা হয়েছে সেখানে ও আরেকটি অংশ যাত্রাবাড়ীতে করা হবে। তার আগে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করা দরকার। কারওয়ানবাজারে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গাবতলী নেয়ার পর সবজির মার্কেট কোথায় হবে, মাংসের মার্কেট, মাছের মার্কেট কোথায় হবে পুরোটার মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে পর্যায়ক্রমে কারওয়ানবাজার থেকে মার্কেট সরিয়ে নেয়া হবে। চ্যালেঞ্জ থাকবে, তবে শহরকে সুন্দর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’
বেইজিংয়ের সিনফার্তি মার্কেট পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মো. মাহে আলম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এস এম শফিকুর রহমান প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।