লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। তাই তাদের সাথে কথা বলার সময় কোন কথাগুলো বলা উচিৎ আর কোন কথাগুলো বলা উচিৎ না তা ভেবে দেখা দরকার। এছাড়া শিশুদের মনস্তত্ত্বও কিন্তু বেশ জটিল। আপনার অসতর্ক হয়ে বলা কোনও কথাও কিন্তু ওর মনের মধ্যে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে।
শিশুর চারপাশের পরিবেশ তার বেড়ে ওঠার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তার সাথে কী কথা বলছেন, সেটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই তার সামনে অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময়েও কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। জেনে নিন, কোন কথাগুলি শিশুদের ভুলেও বলা উচিত নয়।
১. তুলনা করা
বড় ভাই-বোন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে কখনও শিশুর তুলনা করবেন না। এতে শিশুর মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আপনার শিশু যেমন, সেই নিজস্বতাকে স্বীকৃতি দিয়েই ওকে এগিয়ে যেতে দিন। তাদের পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে কখনও ভুলেও বলবেন না যে, আরও ভাল হতে পারত! নম্বর নিয়ে তুলনা করতে হলে ওর নিজের নম্বরের সঙ্গে তুলনা করুন। আগের থেকে আদৌ তার কোনও উন্নতি হল কি না, তা ওর নম্বর দেখেই আপনি সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারবেন।
২. ভুল কাজের জন্য বকা
কোনও কাজ ভুল করলে সেটি শিশুকে বুঝিয়ে বলুন, কিন্তু শিশুর মধ্যে সেই ভুলের জন্য অপরাধবোধ জমতে দেবেন না। আপনার এই আচরণ ওর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব গড়ে দিতে পারে। কখনওই তাদের বলবেন না ‘কোনও কাজই তুমি ঠিক করতে পারো না।’
৩. সময় না দেওয়া
শিশুর সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো কিংবা তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলারও সময় নেই আপনার হাতে? কঠোর হতে গিয়ে নিজের অনুভূতিগুলো শিশুর থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে-ও কিন্তু ভবিষ্যতে অনুভূতিশূন্যতার সমস্যায় ভুগবে। দিনের একটি সময় কেবল শিশুর জন্যই বরাদ্দ রাখুন। সে নিজের মনের কথা বলতে চাইলে, তাকে থামিয়ে না দিয়ে বলতে দিন।
৪. ছেলে-মেয়ে পার্থক্য
ছেলে ও মেয়ের মধ্যে তফাত করবেন না! দু’জনকেই একই চোখে দেখুন। ছেলেদেরকে যে সব কাজের জন্য স্বাধীনতা দিচ্ছেন, মেয়েদেরও তা থেকে বঞ্চিত করবেন না। ‘মেয়ে হয়ে এই কাজ তোমায় মানায় না’— এই প্রকার কোনও মন্তব্য কন্যার কাছে করবেন না।
৫. রাগ প্রকাশ করা
আপনি শিশুর জন্য কী কী করছেন, তা ওকে জানতে না দিলেও চলবে। এই প্রকার কোনও মন্তব্য শিশুর মনের উপর বোঝা তৈরি করতে পারে। তাই শিশুর সামনে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।