লাইফস্টাইল ডেস্ক : অভিভাবকত্ব মোটেই সহজ কাজ নয়। সন্তানদের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে তাদের ভালো-মন্দ প্রতিটি বিষয় বোঝানো, বাবা-মায়ের জন্য কঠিন কাজ।
অনেক সময় শিশুরা জেনে বা না জেনে ভুল পদক্ষেপ নেয় এবং এর ফলে অনেক অভিভাবকের টেনশন বেড়ে যায়। এই সমস্ত কিছু এড়াতে, অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের প্রতি ২৪ ঘণ্টা কড়া নজর রাখেন।
অনেক সময়ই আবদারের চোটে বিরক্ত হয়ে বা দুষ্টুমিতে রেগে গিয়ে বাবা-মায়েরা সন্তানদের বকাবকি করে বড্ড বেশি কিছু বলে ফেলেন।
তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে কথাটি বলা হয়, ‘তোর দ্বারা কিচ্ছু হবে না’। কিন্তু সন্তান হলেও তার সম্মান রয়েছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরাও ডিপ্রেশনে ভোগে।
আপনি হয়তো ভাবছেন, শিশুর সঙ্গে ঠিক আচরণই করছেন, কিন্তু অসাবধানতাবশতই এমন কোনো প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বললেন, যার ফলে ওর মনে গভীর ক্ষত তৈরি হতে পারে। শৈশবের কোনও একটি ঘটনার অভিঘাত পরবর্তী জীবনের কার্যকলাপকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে।
জেনে নিন কোন কথাগুলো শিশুদের ভুলেও বলা উচিত নয়।
১. কোনো ভাই-বোন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে কখনও বাচ্চার তুলনা করবেন না। এতে শিশুর মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আপনার বাচ্চা যেমন, তাকে তার নিজস্বতায় এগিয়ে যেতে দিন। তাদের পরীক্ষার ফল দেখে কখনও ভুলেও বলবেন না যে আরও ভালো হতে পারত!
২. কোনো কাজ ভুল করলে সেটা বাচ্চাকে বলুন। কিন্তু বাচ্চার মধ্যে সেই ভুলের অপরাধবোধ জমতে দেবেন না। এটি বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব গড়ে তুলতে পারে। কখনই তাদের বলবেন না, ‘কোনো কাজই তুমি ঠিকমতো করতে পারো না’!
৩. ‘আসুক আগে বাবা, তখন বুঝবে মজা!’—সন্তানেরা দুষ্টুমি করলে সাধারণত ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন মায়েরা। এর ফলে বাবা বা মাকেই সন্তানের সামনে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। এতে মা-বাবাকে নিয়ে সন্তানের মনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ভালো কিছু হয় না।
৪. অনেক সময় বাচ্চার কান্না বন্ধ করার জন্য বাবা-মা ধমক দিয়ে থাকেন। এটি করা যাবে না। সন্তানের মনের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে বিষয়টি। তার আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ধরন অন্য রকম হবে, সেটাই স্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।
৫. ছেলে ও মেয়ের মধ্যে তফাত করবেন না! দু’জনকেই একই চোখে দেখুন। ছেলেদেরকে যেসব কাজের জন্য স্বাধীনতা দিচ্ছেন, মেয়েদেরও তা থেকে বঞ্চিত করবেন না। ‘মেয়ে হয়ে এই কাজ তোমায় মানায় না’— এই প্রকার কোনো মন্তব্য শিশুর কাছে করবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।