লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের আজকাল দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়। বাড়ি ফিরেও নিষ্কৃতি নেই। ল্যাপটপ ছেড়ে অনেকেই আবার মোবাইল কিংবা ট্যাবলেট নিয়ে বসেন। সন্তানের লেখাপড়ায় সাহায্য করা থেকে অবসর যাপন, সবেতেই বাড়ছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলের মতো নানা ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার প্রবণতা। ঘন্টার পর ঘন্টা কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখার এই অভ্যাস মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে। দীর্ঘক্ষণ চোখের উপর চাপ পড়ার ফলে দেখা দিতে পারে মাথা যন্ত্রণা, অস্বচ্ছ দৃষ্টি, ঘাড়ের যন্ত্রণার মতো নানা ধরনের সমস্যা। দেখা দিতে পারে স্নায়ুরোগ ও অনিদ্রাও। এই হরেক কিসিমের রোগের তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে আরও একটি নাম- ‘স্মার্টফোন ভিশন সিনড্রোম’।
কী এই রোগ? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই বৈদ্যুতিক পর্দার কৃত্রিম আলো চোখের ক্ষতি করে। উপর্যুপরি স্মার্টফোনের পর্দা দ্রুত পরিবর্তিত হয়, এতে চোখের পেশী ও স্নায়ুর উপর বাড়তি চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন এভাবে চললে চোখের বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। শুকিয়ে যেতে পারে চোখ। একেই বলে ‘স্মার্টফোন ভিশন সিনড্রোম’।
কী করণীয়?
চিকিৎসকের বলছেন এই রোগে বেশি ঝুঁকি চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। কাজেই যাঁরা ৪০ পেরিয়ে গিয়েছেন তাঁদের ‘স্ক্রিন টাইম’ কমাতেই হবে। মোবাইল ব্যবহার করার সময় পর্দার সঙ্গে চোখের দূরত্ব হতে হবে অন্তত দেড় ফুট। প্রয়োজনে পড়তে হবে নীল আলো ও অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধক চশমা। দিনে একাধিক বার ঠান্ডা জল দিতে হবে চোখে। কুড়ি মিনিটের বেশি এক টানা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।