লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতকালে ঠান্ডা মেঝেতে পা রাখতে পারেন না। কিন্তু গরমকালে আবার উল্টো। ঘরের মধ্যে জুতো পরার কথা সবসময়ে মাথাতেই থাকে না। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে, বারান্দা কিংবা ছাদে খালি পায়ে চলে যান। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাসে আদতে পদযুগলের ক্ষতিই হচ্ছে। অভিনেতা শাহরুখ খান বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শুধু ঘুমোনোর জন্য কয়েক ঘণ্টা বাদ দিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়ে তিনিও জুতো পরেই কাটান। বাড়িতেও, শুটিংয়েও। তা সে পায়ের ক্ষতি হবে ভেবে না কি কর্মব্যস্ততার জন্য তা তিনি খোলসা করেননি।
কেন?
খালি পায়ে হাঁটলে পায়ে অসাবধানে চোট লাগা স্বাভাবিক। মেঝেতে ধারালো কিছু পড়ে থাকলে কেটেছড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া মেঝে থেকে ব্যাক্টেরিয়া সরাসরি পায়ের ফাটা গোড়ালি বা নখের মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ‘আমেরিকান পোডিয়াট্রিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ দেওয়া তথ্য বলছে, পায়ে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে খালি পায়ে হাঁটলে। বিশেষ করে শৌচাগার বা স্নানঘরের মেঝে থেকে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। শক্ত মেঝের চাপ পায়ের পাতায়, গোড়ালির উপর পড়ে। ফলে শীতকাল না হলেও গোড়ালি ফাটার সমস্যাও বাড়তে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী?
প্রথমত, জুতো বা চপ্পল পরার অভ্যাস করতে হবে। একমাত্র ঘরের মেঝেতে কার্পেট পাতা থাকলে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন। নতুবা নয়।
দ্বিতীয়ত, পায়ের পাতা আর্দ্র রাখতে হবে। বা়ড়ি ফিরে ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখতে পারলে ভাল হয়। না হলে কলের সাধারণ জলে পা ধুয়ে ভিটামিন ই-যুক্ত ক্রিম মাখতে পারেন। অনেকে পায়ের পাতায় নারকেল তেলও মাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।