লাইফস্টাইল ডেস্ক : সোনাগাছির পতিতালয় এশিয়ার বৃহত্তম রেড লাইট এরিয়া। যেখানে দেহ ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন অনেক মহিলা। সভ্য সমাজ এদের থেকে দূরত্ব রেখেছে। এমনকি মানুষ প্রকাশ্যে এইসব শব্দের ব্যবহারও এড়িয়ে চলে। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কেন এই পতিতালয়কে ‘রেড লাইট এরিয়া’ বলা হয়? এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
শোনা যায়, ইংরেজরা ভারতীয় অল্পবয়সী বিধবাদের ধরে আনতে লাগলেন কলকাতার সোনাগাছিতে। খুব সম্ভবত কলকাতা শহরে বেশ্যাবৃত্তির শুরু সেই সময়েই। তবে অনেক ইতিহাসবিদের মতে, পূবে কর্ণওয়ালিস স্ট্রিট ও পশ্চিমে চিৎপুরের মাঝের পুরো জায়গাটা নিয়েই পতিতাদের উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল।
এই নিষিদ্ধ পল্লীর স্থাপনা হয়েছিল নাকি সেই জমিদারবাবুর উদ্যোগেই। কারণ, বেশির ভাগ বাবুদের একাধিক উপপত্নী থাকাটা তখনকার সময়ের ‘বাবু কালচার’। কিন্তু ঘরে স্ত্রীয়ের সঙ্গেই বারবনিতা রাখাটা দৃষ্টিকটু। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে বাবুরা তাদের উপপত্নীদের রাখার ব্যবস্থা করলেন সোনাগাছি অঞ্চলে।
কথিত আছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বেশ ইউরোপের পতিতালয়গুলিতে নীল আলো ব্যবহার করা হতো। এই নীল সংকেতের অর্থ হলো সেখানে কেবল উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদেরই প্রবেশাধিকার রয়েছে। আর যেখানে লাল আলো জ্বালানো হতো সেখানে সকলে যেতে পারতো। এভাবেই পতিতালয়গুলি ‘রেড লাইট এরিয়া’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
আজও, ভারতে যেসব এলাকায় পতিতালয়ে পতিতাবৃত্তি হয় সেগুলিকে রেড-লাইট এলাকা বলা হয়। ভারতের মুম্বাইয়ের কামাথিপুরাকে এশিয়ার প্রাচীনতম রেড-লাইট এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও কলকাতার সোনাগাছিকে এশিয়ার বৃহত্তম রেড-লাইট এরিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।