ধর্ম ডেস্ক : রমজান পুণ্য অর্জন ও ক্ষমা প্রার্থনার মাস। বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে প্রভুর সান্নিধ্য লাভের মোক্ষম সময়। এ মাসে প্রতিটি ভালো কাজের জন্য ১০ গুণ বেশি সওয়াবের ঘোষণা রয়েছে। একই সঙ্গে রোজাদার ব্যক্তির অতীত গুনাহ মাফেরও কথা বলা হয়েছে হাদিসে।
এ মাসে আল্লাহর নির্দেশ পালনে দিনভর উপবাস করেন মুসলমানরা। সন্ধ্যা হলেই আবার আল্লাহর নির্দেশ পালনে সুন্নত তরিকায় ইফতার করেন রোজাদারগণ। সে জন্য ইফতারের পূর্বমুহূর্ত রোজাদারের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই সময় মহান আল্লাহ রোজাদারের দোয়া কবুল করেন। বিশেষ করে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে মানুষ ক্ষুধা ও পিপাসায় কাতর ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই সে সময় দোয়া কবুলের সম্ভাবনা আরও বেশি। কারণ এ ধরনের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় দোয়া করা হলে তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
নবী (সা.) বলেন, ‘সিয়াম পালনকারীর দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না। ’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩/৭)।
অন্য হাদিসে এসেছে- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদারের দোয়া- ইফতার করা পর্যন্ত, ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া, ৩. মাজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ : ৯৭৪৩)। ইফতারের সুযোগ হলে আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জানানো।
হজরত মুয়াজ ইবনে জুহরা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইফতারের সময় এই দোয়া পাঠ করতেন- ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা আফতারতু’, অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমি আপনারই জন্য রোজা রেখেছি এবং আপনারই দেওয়া জীবিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ : ২৩৫৮)
তাই মুসলমান হিসেবে সবার উচিত, পবিত্র এ মাসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা। এ মাসে ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা। রমজানে আল্লাহর কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে মন থেকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।