জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহে মোবাইল ফোন চার্জে রেখে ঘুমানোর সময় তারিকুল আলম নোমান (৪২) নামের এক চিকিৎসক মারা গেছেন। পুলিশের ধারণা, চার্জে থাকা মোবাইল ফোনটির বিস্ফোরণেই দগ্ধ হয়ে মারা যান তারিকুল। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তারিকুলের স্বজনেরা।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তারিকুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
তারিকুল মমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি নগরের গরিব জমির মুন্সি এলাকার মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে।
কোতোয়ালি থানা-পুলিশ জানায়, তারিকুল হাসপাতালের ডিউটি শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ বাসায় ফেরেন। তিনি আলাদা একটি কক্ষে একা ঘুমাতে যান। ওই সময় নিজ বিছানার পাশে প্রতিদিনের মতো মোবাইল ফোন চার্জে দেন। পরে ফোনটি বিস্ফোরিত হলে দগ্ধ হন ঘুমন্ত তারিকুল। এতে তাঁর দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। পোড়া গন্ধ আর আওয়াজ পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা খুলে তারিকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নিহত তারিকুলের ভাই তাসরিকুল আলম শুক্রবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ নেওয়ার আবেদন করেন। পুলিশের কাছেও আবেদন দেওয়া হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শেষে বাসায় ফিরে চিকিৎসক তারিকুল পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরক্ত না করে আলাদা রুমে ঘুমাতে যান। বিছানার পাশে রাখা মাল্টিপ্লাগে নিজের মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
ওসি বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, ফোনটি চার্জে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়ে শরীরে আগুন ধরে যায়। তবে মোবাইল ফোনটি কী কোম্পানির ছিল, তা জানা যায়নি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।