জুমবাংলা ডেস্ক : চিকিৎসক সেজে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীর স্বজনের মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিস চুরি করতেন মুনিয়া খান রোজা (২৫)। পাশাপাশি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিতেন বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে। গত শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসিইউ ইউনিটে ঘোরাঘুরির সময় তাকে সন্দেহ হলে আটক করা হয়। এ সময় তার পরনে অ্যাপ্রোন ছিল। গলায় ঝোলানো ছিল স্টেথোস্কোপ।
পুলিশ জানিয়েছে, মুনিয়া অ্যাপ্রোন পরে ও স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে এমনভাবে ওয়ার্ডে ঘোরেন, ভুয়া হিসেবে তাকে শনাক্ত করার উপায় থাকে না। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। থাকেন পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে। স্বামী বিদেশে থাকেন বলে মুনিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন। এর আগেও ঢামেক হাসপাতালে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হন তিনি।
মুনিয়া শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসিইউ ইউনিটে ঢুকলে আনসার সদস্যরা সিসি ক্যামেরায় দেখে তাকে সন্দেহ করেন। এর পরই তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুনিয়া চিকিৎসক পরিচয়ে চুরির কথা স্বীকার করেন। হাসপাতালে চুরি করার জন্য তিনি চিকিৎসকের ভুয়া পরিচয়পত্র ও অ্যাপ্রোন তৈরি করেছিলেন নীলক্ষেত থেকে। মিটফোর্ড থেকে স্টেথোস্কোপ কিনেছিলেন। আনসার সদস্যরা মধ্যরাতে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
শাহবাগ থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান জানান, মুনিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়েছে। গতকাল তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।