আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন ওষুধ কোম্পানি বা তাদের মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কাছ থেকে উপহার নেওয়া নিষিদ্ধ করেছে। এর ফলে ওষুধ কোম্পানি থেকে গিফট হিসেবে দেওয়া বিদেশ ভ্রমণ, হোটেল সেবা কিংবা নগদ অর্থ নিতে পারবেন না চিকিৎসকরা। শুধু তা-ই নয়, ওষুধ কোম্পানিগুলির কোনও সেমিনার, ওয়ার্কশপ বা কনফারেন্সেও অংশ নিতে পারবেন না।
গত ২ আগস্ট ‘রেজিস্টার মেডিকেল অনুশীলনকারীদের পেশাগত আচরণ সংক্রান্ত নিয়মবিধি’ প্রকাশ করে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন। ওই নির্দেশিকায় ওষুধ কোম্পানির উপহার নেওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকদের স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা কোনও ধরনের ওষুধ, ড্রাগ বা চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রের বিজ্ঞাপন বা প্রচার করতে পারবেন না। চেম্বারেও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো চিকিৎসকদের এড়িয়ে চলতে হবে।
এছাড়াও পেশাগত উন্নয়নে রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকদের প্রতি বছর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি পাঁচ বছরে ন্যূনতম ৩০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিতে হবে। আর যে সব চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন তাদের অন্তত তিন বছর পর্যন্ত রোগীর রেকর্ড রাখতে হবে।
একইভাবে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি কোনও রোগীর বিষয়ে মেডিকেল রেকর্ড জানতে চাইলে ৫ দিনের মধ্যে তা দিতে হবে। এজন্য তথ্য প্রযুক্তি আইন, ডেটা সুরক্ষা ও প্রযুক্তিগত সুরক্ষা আইন মেনে রোগীদের মেডিকেল রেকর্ডও কম্পিউটারাইজড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের নতুন নির্দেশনা ঘিরে চিকিৎসক সংগঠনগুলোর পক্ষে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। তবে এমন নির্দেশিকা ঘিরে চিকিৎসকদের একাংশ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলছেন, ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও অনেক সংস্থা অনেক সময় উপহার দেয়। নতুন নিয়মের ফলে সেগুলোও এখন থেকে আর নেওয়া যাবে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।