আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্থপাচার তদন্তে সিঙ্গাপুরের ১০ ব্যাংকের নথি তলব করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় অর্থপাচারের (এক বিলিয়ন) ঘটনা তদন্তে এখন পর্যন্ত দুটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ব্যাংক দুটি হলো— সিটি গ্রুপের সিঙ্গাপুর সাবসিডিয়ারি এবং মালয়েশিয়ার সিআইএমবি। তবে অন্য ব্যাংকগুলোর নাম জানানো হয়নি। তবে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই এখন পর্যন্ত অভিযোগ আনা হয়নি। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কৌঁসুলিরা বুধবার আদালতকে জানিয়েছেন, তারা সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় মানিলন্ডারিংয়ের ঘটনায় গত সপ্তাহে গ্রেফতার ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কাগজপত্র চেয়েছেন।
সিটি গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ‘অর্থপাচার ঠেকাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সরকারের নীতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে’। অন্যদিকে যোগাযোগ করা হলেও সিআইএমবি এ বিষয়ে সাড়া দেয়নি।
একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ৪০০ কর্মকর্তার যুগপৎ অভিযানে যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে স্ক্যাম এবং অনলাইন জুয়ার পাশাপাশি নথি জালিয়াতিসহ বিদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চীন, সাইপ্রাস, তুরস্ক ও ভানুয়াতুর নাগরিক রয়েছেন। পুলিশের তথ্যমতে, তাদের সবার কাছেই চীন থেকে ইস্যু করা পাসপোর্ট ছিল।
এদিকে দ্য স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে যে, সন্দেহভাজন অর্থপাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত ২০ সংস্থার মধ্যে ১১টি ‘সচল’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও নিবন্ধিত ঠিকানায় তাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এগুলোর মধ্যে আছে— গোল্ডেন ঈগল এসেস্টস এবং গোল্ডেন ঈগল ফ্যামিলি অফিস। দুটি প্রতিষ্ঠানই ৪৪ বছর বয়সি ঝ্যাং রুইজিনকে পরিচালক হিসেবে দেখিয়েছে। যিনি সেন্ট কিটস ও নেভিস আইল্যান্ডের নাগরিক বলা হলেও ধারণা করা হচ্ছে তিনি চীনের ফুজিয়ানের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।