জুমবাংলা ডেস্ক : হাতে আর মাত্র ১০ দিন। আইন অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ আগামী ৩০ নভেম্বর তারিখের মধ্যেই ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা যারা আছেন তাঁদের রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সব টিআইএন নম্বরধারীদেরকেই দিতে হবে রিটার্ন জমা।
আগে আয়কর মেলা হলেও করোনার পর থেকে তা বন্ধ রাখে এনবিআর। তবে করদাতাদের সুবিধার জন্য গত ১ নভেম্বর থেকে প্রতি কর অঞ্চলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সকল সুবিধা চালু করা হয়েছে। দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেল কার্যালয়ে করসেবা দেওয়া হচ্ছে। রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণেও করা হবে সহায়তা।
আশানুরূপ সাড়া মিলছে না আয়কর রিটার্ন জমায়আশানুরূপ সাড়া মিলছে না আয়কর রিটার্ন জমায়
পাশাপাশি এসব কার্যালয় থেকে নতুন করদাতাদেরও নানা তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হবে। ই-টিন নিতে চাইলেও তা মিলবে।
তবে অনেকেই এই রিটার্ন দাখিলের সময় ভুল করেন। এতে করে বেড়ে যায় নানা বিপদ। কেননা আয়কর আইন অনুযায়ী, একবার রিটার্ন দাখিলের পর ৬ বছর পর্যন্ত সেই আয়কর ফাইল বা রিটার্ন পুনরায় উন্মোচন করা যায়।
সেজন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বেশ সতর্ক থাকা দরকার। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের যেসব কাগজ লাগতে পারে-
১. আপনি চাকরি করে থাকলে প্রতি মাসে বেতন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যায়। সেই ব্যাংকের স্টেটমেন্ট বা অফিস থেকে স্যালারি সার্টিফিকেটের কাগজ লাগবে।
২. বাসা বা বাড়ি ভাড়া যদি আপনার আয়ের উৎস হয় তাহলে ভাড়ার চুক্তিপত্র দাখিল করতে হবে। বাড়ি বা বাসার জন্য যে কর দেন, সেটির কাগজ জমা দিতে হবে। বন্ধকি ঋণের ওপর সুদ থাকলে, ব্যাংক থেকে সেটির সনদ জমা দিতে হবে।
রিটার্ন জমা দিতে কর অফিসগুলোতে মাসব্যাপী বিশেষ সেবা শুরুরিটার্ন জমা দিতে কর অফিসগুলোতে মাসব্যাপী বিশেষ সেবা শুরু
৩. কৃষি কাজ থেকে আপনার আয় হলে কৃষি জমির পরিমাণের কাগজপত্র লাগবে। পাশাপাশি চাষ করা শস্যের পরিমাণ এবং তা কত টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বা বাজারমূল্য কত তার কাগজ।
৪. ব্যবসা বা পেশা খাতে আয়ের ক্ষেত্রে স্থিতিপত্র ও আয়-ব্যয়ের বিবরণীর কাগজ জমা দিতে হবে।
৫. মূলধনি লাভ হলে মূলধনি সম্পদের বিক্রয়মূল্যের রসিদ লাগবে। পাশাপাশি বিক্রীত সম্পদের ক্রয়মূল্য ও আনুষঙ্গিক মূলধনি ব্যয়ের কাগজপত্র লাগবে।
৬. আর্থিক পরিসম্পদ থেকে আয় যেমন: ব্যাংকের সুদ বা মুনাফা, সঞ্চয়পত্রের সুদ, এফডিআর বা মেয়াদি স্থায়ী আমানত থাকলে সেগুলোর কাগজ জমা দিতে হবে।
রিটার্ন জমা দিতে যেসব কাগজ লাগবেরিটার্ন জমা দিতে যেসব কাগজ লাগবে
৭. অন্যান্য উৎস খাতে আয়
ক. জাকাত তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (প্রমাণপত্র)
খ. অনুমোদিত ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার স্টক, স্টক বা শেয়ারে বিনিয়োগ (বিনিয়োগের প্রমাণপত্র)
গ. জীবনবিমার প্রদত্ত কিস্তি (প্রিমিয়ার রসিদ)
ঘ. স্বীকৃত ভবিষ্য তহবিলে স্বীয় ও নিয়োগকর্তার প্রদত্ত চাঁদা (সনদের ফটোকপি)
ঙ. ভবিষ্য তহবিল আইন, ১৯২৫ অনুযায়ী প্রযোজ্য ভবিষ্য তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (সনদের ফটোকপি)
চ. ভবিষ্যতে প্রাপ্য বার্ষিক ভাতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে চাঁদা (উপযুক্ত কর্মকর্তার ইস্যু করা সনদ)
ছ. কল্যাণ তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা এবং গোষ্ঠী বিমা কর্মসূচির অধীন প্রদত্ত কিস্তি (নিয়োগকর্তার সনদ)
জ. ডিপোজিট পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদা (ব্যাংকের সনদ সর্বোচ্চ, ১,২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ অনুমোদনযোগ্য)
ঝ. অনুমোদিত বয়সজনিত তহবিলে প্রদত্ত চাঁদা (নিয়োগকর্তার সনদ)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।