লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাঁসের ডিমের যে কোনো পদ হলে অন্য কিছু আর লাগে না ভাত খেতে। এ রকম ভোজনরসিক আছেন অনেকেই।
আবার অনেকেই মনে করেন হাঁসের ডিম খুব ক্ষতিকারক। খেলে ওজন থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। প্রচলিত অনেক ধারণাই সঠিক নয়।
পুষ্টিবিদ মিহো হ্যাটানাকা জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই হাঁসের ডিম বেশি উপকারী মুরগির ডিমের তুলনায়। হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় বড়। দুইটি হাঁসের ডিম সমতুল ৩টি মুরগির ডিমের।
মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে অ্যালবুমিন বা সাদা অংশের পরিমাণ বেশি। ফলে কেক, পেস্ট্রি-সহ যে কোনো বেকিং-এর স্বাদ হাঁসের ডিমে অনেক বেশি ভাল হয়।
মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে ফ্যাট, ওমেগা থ্রি, প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই যারা হাই প্রোটিন ডায়েট বা পালেও ডায়েটে থাকেন, তাদের জন্য হাঁসের ডিম আদর্শ।
হাঁসের ডিমের ভিটামিন বি-১২ সাহায্য করে রেড ব্লাড সেল তৈরি, ডিএনএ সিন্থেসিস এবং সুস্থ স্নায়ুতন্ত্রের গঠনে। হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে। ক্যানসারের আশঙ্কা কমে।
হাঁসের ডিমের ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ত্বক উজ্জ্বল হয়। সেলেনিয়াম সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে।
হাঁসের ডিমের কোলাইন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রাইবোফ্ল্যাভিন পেশিশক্তি বজায় রাখে। এত উপকারিতায় সমৃদ্ধ হাঁসের ডিম শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
অনেকেরই ধারণা, হাঁসের ডিম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যায় শরীরে। গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে না ডিমের কুসুমের কোলেস্টেরল।পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই ডায়েটে রাখতে হবে হাঁস ও মুরগির ডিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।